খেলাপি ঋণ ঠেকাতে আইনে পরিবর্তন আসছে

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৮ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:১৪

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলো যখন গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে তখন এ ব্যাপারে আইন পরিবর্তনের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে আইনে কী পরিবর্তন আসবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে আইন পাল্টালে খেলাপি ঋণ বাড়বে না সেভাবেই আইনে পরিবর্তন আনা হবে।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইন পাল্টালে কেউ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশন নিতে পারবো। এগুলো করতে পারলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না। মূলত আইনি প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণেই খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। আইন পাল্টালে খেলাপি ঋণ বাড়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। কাস্টমার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, একইভাবে ব্যাংকের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না।’

আইনে কী পরিবর্তন আনা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব জায়গায় আমাদের বিচ্যুতি আছে, যেগুলো সংশোধন করলে ঋণগ্রহীতারাও লাভবান হবে, আমরা সবাই লাভবান হবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে দাপট, আমরা নিজেরাও তা দেখি; এই বিষয়গুলো ঠিক করা, ব্যাংকিং খাত ঠিক করা, সেই কাজ আমরা করতে চাচ্ছি। যেখানে নতুন আইন দরকার সেখানে নতুন আইন করবো।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক তাদের কর্মপরিকল্পনা আজ আমাদের কাছে তুলে ধরেছে। তিন মাস পরে এই চারটি ব্যাংক নিয়ে আমরা আবারো বসবো। দেখবো কোন ব্যাংক কেমন পারফরম্যান্স করে। আমরা তিন মাস পর তা আপনাদের কাছে তুলে ধরব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চারটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক থেকে আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে করে ব্যাংকের রেভিনিউ বৃদ্ধি পায়। দিন শেষে আমাদের রেভিনিউ প্রফিট যেন বৃদ্ধি পায় এটা প্রধান উদ্দেশ্য। কারণ এই চারটি ব্যাংক অর্থনীতির বিশাল এলাকা কাভার করে থাকে। যেখানে ব্যাংকের একাধিক শাখা আছে সেগুলো স্থানান্তর করা হবে, যাতে করে একজনের কাস্টমার আরেকজন নিতে যাতে না পারে। আমরা ব্যাংকে হেলদি কমপিটিশন দেখতে চাই।’

‘এদেশের মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে, সেখান থেকে আমরা কাজ করবো। যে ক্ষেত্রেই পরিবর্তন করার দরকার সেখানে পরিবর্তন করা হবে। যেখানে নতুন করে আইন করা দরকার সেখানে নতুন আইন করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)