শোভন-রাব্বানীর পদচ্যুতিতে অন্যায় দেখছেন রিজভী

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৪৩ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া বেআইনি হয়েছে বরে মনে করেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তার মতে এটা  গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও এর সরাসরি লঙ্ঘন।

মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোনো আদেশ-নির্দেশ দেওয়া বা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা কেবল পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শোভন ও রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী থাকলেও নতুন আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আরপিও অনুযায়ী ছাত্রলীগ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রও সে কথাই বলে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনমাত্র।’

রিজভী বলেন, ‘পদচ্যুতির ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেখভাল করছেন।’

‘এতে প্রমাণ হয় যে, নিয়মনীতি, বিধিবিধান, আইনকানুন সব লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছে।’

ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর স্থগিতাদেশের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী দাবি করেন, ‘নিয়মনীতি মেনেই তারা এই কাউন্সিল করতে যাচ্ছিল। কিন্তু সরকার তা আদালতের মাধ্যমে স্থগিতের আদেশ দিয়েছে।’

রিজভী প্রশ্ন রাখেন, ‘ছাত্রদলের মতো একই আদালতে কেউ যদি শোভন-রাব্বানীর পদচ্যুতি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে, তবে স্থগিতাদেশ এবং শোকজের আদেশ দেওয়া হবে কি না।’ এ ক্ষেত্রে আদালত বা নির্বাচন কমিশন চুপ কেন, তাও জানতে চান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)