অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া নেতানিয়াহু

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইসরায়েলের নির্বাচনের ফলাফল এখনো প্রকাশিত না হলেও সমীক্ষা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বড় ধাক্কা খেয়েছেন। সরকার গড়তে ব্যর্থ হলে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই সময়কালে ইসরায়েলের মানুষকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। আত্মঘাতী হামলা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে দেয়নি। কিন্তু অন্যদিকে চরম বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন এই নেতা। তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণাসহ একাধিক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির ভিত্তিতে তদন্তও চলছে। ক্ষমতা হারালে ও সংসদ সদস্য হিসেবে রক্ষাকবচ উঠে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

এই অবস্থায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনকেই হাতিয়ার করেছিলেন নেতানিয়াহু। গত এপ্রিল মাসে নির্বাচনে কোনোরকমে জিতে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আবার নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের মানুষ আবার ভোট দিয়েছেন। এখনো ফলাফল জানা না গেলেও বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী এবারও নেতানিয়াহুর পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। সরকারি ফলাফল জানতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের এক দিন আগেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যেতে পারে।

এবারের নির্বাচনে নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিপক্ষ সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান ও মধ্যপন্থি ‘নীল ও সাদা’ দলের নেতা বেনি গানৎস। দু’জনের মধ্যে কেউই জয়ের দাবি করতে পারছেন না। মঙ্গলবার রাতে লিকুদ দলের সদর দপ্তরে নেতানিয়াহুকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। অন্যদিকে গানৎস আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন। শেষ পর্যন্ত যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক না কেন, জোট গড়তে অন্যান্য দলের সমর্থনের প্রয়োজন হবে।

নেতানিয়াহু যুগের অবসান ঘটলে ইসরায়েলের রাজনীতি জগতে আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক। নানা অভ্যন্তরীণ বিষয় ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তির উদ্যোগের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করা যেতে পারে। ইরানের প্রতি চরম বৈরি মনোভাবের বদলে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করতে পারেন বেনি গানৎস বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য নেতা।

ঢাকা টাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/একে