বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

অবশেষে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং প্রশাসনকে বিব্রত করার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি তথা বিভাগের সকল শিক্ষক ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার অভিযোগ প্রত্যাহার করে তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এর আগে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করলে এ নিয়ে স্যোশাল মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এদিকে, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোন খেলার পুতুল না। ইচ্ছা করলে বহিষ্কার, ইচ্ছা করলে প্রত্যাহার। এটা আমি মানি না।’

তিনি বলেন, ‘আমার ডিপার্টমেন্ট ক্ষমা চেয়ে নাকি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করিয়েছেন। আমি অন্যায় করিনি, কাউকে ক্ষমা চাইতেও বলিনি। তারা উপযাজক হয়ে যা করেছে, তা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নামে মিথ্যাচার করেছে এবং আমার পরিবারকে হেয় করেছে।’

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান,  ‘জিনিয়া আমাদের সন্তানের মতো। ওর বয়স কম। তাই আমরা ওর ভবিষতের কথা চিন্তা করে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের কাছে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাতেমা তুজ জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন।’

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এলএ)