ক্যাসিনোর তালিকা করে অভিযানে নামছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:২৪ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা জুয়ার আড্ডা ও ক্যাসিনোর তালিকা করে পুলিশ অভিযানে নামছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে র‌্যাব কয়েকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছে। পুলিশও অভিযান শুরু করবে। অবৈধ জুয়ার আড্ডা ও ক্যাসিনোতে যত বড় প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এর মধ্যে মতিঝিলের ইয়াংমেন্স ক্লাব থেকে ২৪ লাখ ২৯ হাজার নগদ টাকাসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা ও ২০ হাজার ৫০০ জাল টাকা জব্দ করা হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ক্যাসিনোটি।

এছাড়া গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ টাকাসহ ক্যাসিনো পরিচালনা ও খেলার অভিযোগে মোট ৪০ জনকে আটক করা হয়। আর বনানীর আহম্মেদ টাওয়ারে অবস্থিত গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ নামক ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানে কাউকে না পেয়ে ক্যাসিনোটি সিলগালা করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যোগদানের পর কারা এই জুয়া ও ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করে জানাতে বলেছি। তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে একটি জোনের তালিকা আমি পেয়েছি। অন্য জোনের তালিকাও করা হচ্ছে। র‌্যাব যেমন অভিযান শুরু করেছে তেমনি পুলিশের ভূমিকাও একই রকম। স্পষ্ট করে বলছি, রাজধানীর কোথাও জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না। র‌্যাবের অভিযানে মাদকের উপস্থিতি দেখা গেছে। মাদক সেবনরত অবস্থাতেও অনেককে দেখা গেছে।

‘ক্যাসিনোতে যারা জুয়া খেলতে আসে তারাই মাদক সেবন করছে। ক্যাসিনো যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখানে মাদক সেবনও বন্ধ হবে। ক্যাসিনো বন্ধ করেও যদি কেউ মাদকের কারবার চালানোর চেষ্টা করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিনোদনের নামে যদি অশালীন ও অবৈধ কিছু চলে, মাদক সেবন হয় তাহলে সেখানেও একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নজরদারিতে থাকবে। নির্মল বিনোদন হলে পুলিশ সবসময় সহযোগিতা করবে।’

যুবলীগ নেতার ক্যাসিনো সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানতো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর। যে পর্যায়েই হোক না কেন। জোনাল ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের ঘটনা মোটেও সহ্য করব না। এরপরেও যদি কেউ জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো পরিচালনা করেন, জড়িত থাকে বলে জানতে পারি তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/১৯ সেপ্টেম্বর/এসএস/এমআর