সাত দেহরক্ষীসহ যুবলীগ নেতা শামীম আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:০৯ | প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:২১

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তার দেহরক্ষীদের সাত অস্ত্র ও শামীমের কাছ থেকে একটি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। পরে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়।

শামীমের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে যুবলীগের নেতা শামীমের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে নিকেতনেরই আরেকটি বাসায় তার অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসার চারতলায় শামীমের কোম্পানি জি কে বি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।

শামীমের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হয় জানিয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, দেশি-বিদেশি মুদ্রা মিলিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, আর বাকিগুলো তার নামে। তবে সেখানে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে বলে শামীম র‌্যাবকে জানান। কিছু মাদক ও মদও পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বুধবার গুলশান থেকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ্। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জি কে শামীমকে আটকে অভিযান চালানো হয় বলে র‌্যাবের সূত্র জানায়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্স কোম্পানির মালিক শামীম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বড় বড় টেন্ডারের কাজ ভাগিয়ে নেয় এই কোম্পানি। অন্য কেউ টেন্ডার জমা দিলেও যুবলীগের সম্রাট ও খালেদের হস্তক্ষেপে ফয়সালা হতো। জি কে বিল্ডার্সের একটি শাখা সিঙ্গাপুরেও রয়েছে, সেখানে বসেন শামীম, সম্রাট ও খালেদ- এমন তথ্য গণমাধ্যমে আসছে।

জি কে শামীম ঠিকাদারির আড়ালে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করতেন বলে দাবি র‌্যাবের। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক শামীমের দেহরক্ষীদের অস্ত্রগুলো এসব কাজে ব্যবহৃত হতো বলে জানান র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তবে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন। তিনি নাকি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

নানা অপকর্মের অভিযোগে সম্প্রতি ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে রেজওয়ানুল হক শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের কিছু নেতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর চার দিন পর বুধবার যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার অবৈধভাবে পরিচালিত একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করা হয়।

ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যসহ একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি। কোনো নালিশ শুনব না। এক একে সব ধরব।’

ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এসএস/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :