শামীমের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত জি কে শামীমকে র‌্যাব আটক করার পর তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে নিজেদের সংগঠনের নেতা বলতে নারাজ।

আজ শুক্রবার শামীমকে গুলশানের নিকেতনের বাসা থেকে র‌্যাব আটকের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, জি কে শামীম যুবলীগের কেউ নন। শামীমের সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

যুবলীগের পক্ষ থেকে শামীমকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দেওয়া হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানায়, জি কে শামীম তাদের কমিটির কেউ নন।

আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের বাসা থেকে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাকে নিয়ে নিকেতনেরই ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসায় তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। চারতলা ওই বাসায় শামীমের কোম্পানি জি কে বি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড। এখান থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকাসহ বিদেশি মুদ্রা, মদ, অস্ত্র জব্দ করা হয়। আরও পাওয়া যায় ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ।

রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজ জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি এই দলে ভেড়েন। এবং যুবলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান। র‌্যাব বলছে, শামীম ঠিকাদারির আড়ালে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তার দেহরক্ষীদের অস্ত্রগুলো এসব অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হতো।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এনআই/মোআ)