বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৫ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বেশি কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদেই এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছিলেন। এ সময় ৪০-৫০ জন তাদের ওপর হঠাৎ আক্রমণ করে। তারা হকিস্টিক এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ছাত্রদের পেটাতে থাকে। এতে ২০ জন আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে গেছে বলে জানা গেছে।

উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চাপা ক্ষোভের মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এজন্য উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলেও ভিসির অপসারণ দাবিতে অনড় থাকেন শিক্ষার্থীরা।

গত বৃহস্পতিবার দাবির পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীরা সারারাত সেখানে অবস্থান করে। দাবি আদায়ে গতকালও বিক্ষোভ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন বহিরাগত এসে তাদের ওপর হামলা চালালে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি শুনলেও এখনো তারা আদেশের চিঠি পাননি। তাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই তারা আন্দোলন থেকে সরে যাবেন। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এমআর