কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ১০ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৩০ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার পাঁচ দিন করে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের এবং একই থানার এসআই আশিকুর রহমান মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মাদ আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদ পান যে,  কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের অফিসকক্ষে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক হেফাজতে রেখে মাদক ক্রয়-বিক্রয় চলছে। পরে বেলা চারটার দিকে সেখানে উপস্থিত হয়ে অফিস ঘেরাও করে রাখেন। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউছুল আজম ও সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে সাড়ে ৬টার দিকে অফিস কক্ষে প্রবেশ করার পর তল্লাশিকালে অবৈধ একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি এবং ৯৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফিরোজ জানান যে, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ অগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র অফিসকক্ষকে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে অবৈধ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছেন। তাই অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে জানতে এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের শনাক্তের জন্য আসামিকে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

বায়রার সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে দুইটার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে আদালতে ওঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান ও মাসুদ এই চৌধুরী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। তারা বলেন, আসামি সফিকুল আলম ফিরোজ শুধু পরিস্থিতির শিকার। তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার হয়নি। তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়েছে। ২৭ বছর করে কলাবাগান ক্লাবের সভাপতিত্ব করে আসা এই ব্যক্তি একটি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক নিয়ে ক্লাবে বসে থাকবেন এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তাকে তার বিরোধী পক্ষ ফাঁসিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে অভিযান শুরুর আগে ক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমকে ক্লাব থেকে র‌্যাব-২ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে নিয়েই ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাব থেকে ক্যাসিনোয় ব্যবহৃত ৫৬২ পিস চিপস (কার্ড), ৯৯০ পিস ইয়াবা ও একটি বিদেশি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

প্রসঙ্গত, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)