আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে সুপ্রিম কোর্টে মিন্নি

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ঢাকায় এসেছেন। মিন্নির আইনজীবীরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে আইনি পরামর্শের জন্যই মূলত ঢাকায় এসেছেন তিনি।

রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বাবাসহ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেডআই খান পান্নার কক্ষে যান মিন্নি। 

এর আগে শনিবার বিকেল ৪টায় বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে এমভি শাহরুখ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিন্নি। সঙ্গে আছেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা। এ ছাড়া মামলার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি।

তবে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি মিন্নি।

গত ২ সেপ্টেম্বর মিন্নিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত বহাল রাখায় কারাগার থেকে মুক্তি পান মিন্নি। আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দীন।

গত ২৯ আগস্ট মিন্নিকে স্থায়ী জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে জামিনে থাকাকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলা যাবে না বলে শর্ত দেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিফাত শরীফকে। এ ঘটনায় প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মিন্নি হামলাকারীদের নিবৃত করতে ব্যর্থ হন। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরিফের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরদিন (১৭ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর কয়েক দফা আবেদন জানালেও নিম্ন আদালতে জামিন মেলেনি মিন্নির।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/ইএস