উপসাগরীয় অঞ্চলে সেনা মোতায়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ইরান প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

উপসাগরে বিদেশি সেনা মোতায়ন হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হুমকি সৃষ্টি হওয়ার আশক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। 

১৯৮০ থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন,‘বিদেশি শক্তিগুলো আমাদের এ অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতা ও সমস্যার কারণ হতে পারে। অতীতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের ঘটনা উপসাগরে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। তাই আমি তাদেরকে দূরে থাকতে বলেছি।’

‘‘তারা যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের উচিত হবে না আমাদের অঞ্চলকে অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানানো। আমাদের দেশগুলো ও এ অঞ্চল থেকে বিদেশি শক্তিগুলো যত দূরে থাকবে, এখানে তত বেশি নিরাপত্তা বজায় থাকবে’’

গত শনিবার সৌদি আরবের মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় জ্বালানি কোম্পানি আরামকোর দুইটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার জন্য সৌদিতে সৈন্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

হাসান রুহানি বলেন, বিদেশি সেনারা সবসময়েই ‘যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ’ বয়ে এনেছে। উপসাগরীয় অঞ্চলকে তাদের ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতায়’ ব্যবহৃত হতে দেওয়া উচিত হবে না।

সৌদি আরবে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,‘সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের নিকট সাহায্য চেয়েছে। যেসব মার্কিন সেনা সেখানে পাঠানো হবে তারা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা বাড়ানোয় জোর দেবে। যুক্তরাষ্ট্র দেশদুটিতে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের মাত্রাও বাড়াবে।’

সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরান বরাবরই জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা তেলক্ষেত্রে ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও, ওয়াশিংটনের অভিযোগ ইয়েমেন নয় বরং ইরান থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/আরআর