আরও দুই পণ্য ও খাতে নগদ সহায়তা

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:০২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরে নগদ সহায়তা পাওয়ার তালিকায় আরও ২টি পণ্য ও খাত যোগ হলো। নতুনভাবে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এ ছাড়া কনজ্যুমার ইলেক্টনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যপ্লায়েন্স পণ্য খাতে মিলবে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা। সব মিলে এবার নগদ সহায়তা পাবে ৩৭টি পণ্য ও খাত।

গত অর্থবছরে ৩৫টি পণ্য ও খাত নগদ সহায়তার আওতায় ছিল। এ ছাড়া এবার বিদ্যমান দুটি খাতে নগদ সহায়তা আগের চেয়ে কমানো হয়েছে।

আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।

রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আগে থেকে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। গত অর্থবছরে ৯টি পণ্য ও খাত নগদ সহায়তার আওতাভুক্ত করা হয়েছিল। তার আগের অর্থবছরে পাঁচটি খাতকে আওতাভুক্ত করা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা; বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইইউ ছাড়া নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ অব্যাহত থাকবে।

এসব সুবিধার বাইরে এবার তৈরি পোশাক শিল্পের যেসব রপ্তানিকারক কোনো নগদ সহায়তা পান না, তাদের জন্য ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

চামড়াজাত পণ্য, ফার্নিচার, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য, পেট বোতল-ফ্লেক্স থেকে উৎপাদিত পলিয়েস্টার স্টাপল ফাইবার, শস্য ও শাকসবজির বীজ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, পাটজাত পণ্য, আলু, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজজাতীয় দ্রব্য, আগর ও আতর, কৃষিপণ্য, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ছাড়া), হালকা প্রকৌশল পণ্য, হালাল মাংস, হিমায়িত চিংড়ি, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডাইয়েন্টস (এপিআই), সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সিনথেটি ও ফেব্রিকস ও মাছ রফতানিতে আগের মতোই নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

তবে হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া, গাছের পাতা, খোল ও গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে উৎপাদিত পণ্যে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আর পেট বোটল ফ্লেক্স রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/মোআ)