গোমাংস বিক্রেতা সন্দেহে ভারতে খ্রিষ্টান যুবককে হত্যা

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫০ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কখনো গরু চুরির দায়, কখনো গরুর মাংস বিক্রির সাজানো অভিযোগ এনে বেশ কয়েকজন মুসলিমকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এসব হত্যার বেশিরভাগেরই কোনো বিচার হয়নি। এবার সেই ধারাবাহিকতায় গরুর মাংস বিক্রেতা সন্দেহে তিন খ্রিষ্টান যুবককে গণপিটুনি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা। এতে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঝাড়খণ্ড খুন্তি জেলার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে গোমাংস বিক্রির খবর ছড়ানোর পর প্রতিবেশী জালটান্ডা সুয়ারি গ্রামে তিনজনের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। গণপিটুনির হাত থেকে পালাতে ব্যর্থ হয় তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কালান্তুস বারলা নামের এক যুবকের। আহতরা হলেন ফাগু কাচ্চাপন্দ ও ফিলিপ হাহোরো। তারা তিনজনই আদিবাসী খ্রিস্টান।

ডিআইজি জানিয়েছেন, পরপর ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি।

গত তিন মাসে এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডে দুটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটল। জুনে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারিকে। ১৭ জুন ঝাড়খণ্ডের খরসওয়ান জেলায় তবরেজ আনসারিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে, চোর সন্দেহে ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। এরপরই সে মৃত্যুবরণ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হচ্ছিল এবং পেটানো হচ্ছিল। অথচ তাবরের মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে পুলিশ। এরপর অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়।

ঢাকা টাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/একে