নিজের বাড়িতে তিন কোটি ২৪ লাখ পরিবার, ভাড়ায় ৪৬ লাখ

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের তিন কোটি ২৪ লাখ ৬৯ হাজার পরিবারের নিজের বাড়ি রয়েছে। বাড়ি ভাড়া করে থাকেন ৪৬ লাখ ২০ হাজার মানুষ। নিজের নেই কিংবা কোনও রকম ভাড়া ছাড়াই আছেন সাড়ে ৬ লাখ পরিবার। আর দেশে মোট ৫৩ লাখ ২০ হাজার বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে।

সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এসব তথ্য জানিয়েছে। ঢাকার আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে ‘সার্ভে অন ওকুপেইড রেসিডেন্সিয়াল হাউজেজ এন্ড রিয়েল এস্টেট সারভাইস ২০১৮’ শীর্ষক জরিপটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট বাড়ির মধ্যে ৮৫ দশমিক ৮২ শতাংশ পরিবারের নিজের বাড়ি আছে। ভাড়া বাড়িতে থাকেন ১২ দশমিক ২১ শতাংশ পরিবার ও ভাড়া ছাড়াই বাড়িতে থাকেন ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্যভাবে বাড়িতে থাকেন এক লাখ পরিবার। সব মিলিয়ে জিডিপিতে আবাসন খাতের অবদান এখন ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

দেশে পাঁচ তলার ওপরে বহুতল ভবনের সংখ্যা ১৮ লাখ ৫০ হাজার। পাঁচ তলার নিচে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার। সেমি পাকা এক কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার। কাঁচা ২ কোটি ৯ হাজার এবং ঝুপরি ২ লাখ ৫০ হাজার। বসবাসের ঘরের গড় আয়তন ৪২৫ বর্গফুট।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আবাসন খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভাড়া বাবদ আয় ছিল ৮১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। যা পরের অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরে এক হাতে মূল্য সংযোজন ৭০ হাজার ২০৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। এই হিসাবে বাজার মূল্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।

বর্তশানে আবাসন খাতে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ জন কাজে নিয়োজিত আছেন। শ্রমিকদের ৩১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেতন হিসাবে ও ৫৩৪ কোটি টাকা অন্যান্য পাওনা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। দেশে মোট ৫৩ লাখ ২০ হাজার বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে, এসব ভবনে ৩১ দশমিক ২১ ভাগ মালিক নিজেই ব্যবহার করে থাকেন। পজিশন বিক্রি ২ দশমিক ১২ শতাংশ ভবনে। আর ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভবন।

অনাবাসিক ভবনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ আয় হয়েছে যা পরের বছর দাঁড়ায় ৫৪ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। সংস্কার ব্যয় বাদে এক হাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা মূল্য সংযোজন হয়েছে। ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে পরের অর্থবছরে এর আকার দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৯৮১ কোটি টাকায়।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার পরিসংখ্যান ব্যুরো। সরকারের নীতি নির্ধারণে সঠিক তথ্য এবং উপাত্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বিবিএসের কর্মীরা।’

সভাপতির বক্তব্যে বিবিএস মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন বলেন, ‘আমাদের জরিপে উঠে এসেছে ছোট বাসায় ভাড়া বেশি। অন্যদিকে বড় বাড়িতে তুলনামূলক ভাড়া কম। এছাড়া এখনও ভাড়া বাসার চেয়ে নিজের বসত বাড়ির সংখ্যাই বেশি।’

সামনের দিনে এ ধরণের জরিপ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন কৃষ্ণা গায়েন।

ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/ডিএম