শামীমের অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি, লেনদেন স্থগিত
বিপুল পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তার ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত (অবরুদ্ধ) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, জি কে শামীম, তার স্ত্রী ও মা-বাবার নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত সব তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়।
এর আগে রবিবার জি কে শামীমের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বড় বড় অংকের কয়েকটি চেক ব্যাংকে জমা পড়ে। এরপর ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা জারি করে।
সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ত্রাসী ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিএফআইইউ তা অনুসন্ধান করে। সম্প্রতি এসব অপরাধে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের হিসাবও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তাদের হিসাবে টাকা জমা হবে কিন্তু উত্তোলন করতে পারবে না।
গত শুক্রবার র্যাব রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হানা দিয়ে তাকে এবং তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে। শামীম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের মালিক তিনি। তিনি নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রীয় যুবলীগ দাবি করছে, শামীম তাদের কেউ না।
অভিযানকালে র্যাব শামীমের অফিস থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র (তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি), নয় হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মদের বোতল জব্দ করে।
পরে র্যাব জি কে শামীমকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তিনটি মামলা দেয়। সেই মামলায় তিনি ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন। সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীও চার দিনের রিমান্ডে আছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/জেবি)