টেন্ডার পেতে পরিচালককে রাবি কর্মচারীর হুমকি

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৩

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টেন্ডার পেতে রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. ইব্রাহিমকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী আনোয়ারের বিরুদ্ধে। আনোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দপ্তরের উচ্চমান সহকারী কর্মকর্তা ও মেসার্স এএসএম ট্রেডার্সের মালিক।

এ ঘটনায় গত রবিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন পরিচালক ড. ইব্রাহিম।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আনোয়ার হোসেন রাজশাহী মেসার্স এএসএম ট্রেডার্সের নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসেবে গবেষণাগারে ৮ সেপ্টেম্বর উলুখড় নিলামে দরপত্র প্রদান করে। তবে নির্ধারিত ১১ শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বাতিল বলে গণ্য হয়। এরপর থেকেই তার প্রতিষ্ঠানের নামে নিলাম পেতে রাজনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে ফোনে হুমকি প্রদান করেন।   

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি আইনের ব্যত্ময় ঘটিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার। যদিও সরকারি চাকরি বিধি ১৯৭৯ এর ১৭ ধারায় বলা আছে, কোন সরকারি কর্মকর্তা সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোন চাকরি বা কার্যগ্রহণ করতে পারবে না।

বিসিএসআইআর পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিম বলেন, গবেষণাগারের নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম প্রকৌশল শাখা এবং নিলাম কমিটি নিয়মমত পরিচালনা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব বা অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। এরপরও ভয় দেখিয়ে আনোয়ার টেন্ডার পেতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালককে হুমকি-ধামকির বিষয়টি অস্বীকার করেন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমার কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই।’

তবে প্রতিবেদকের কাছে তার ট্রেড লাইসেন্স’র কপি হাতে এসেছে।

রাবি উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী জানান, বিসিএসআইআর পরিচালককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারি করার বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে অবগত করে ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি। তথ্য ফাঁকি দিয়ে করতে পারে। এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ঠিকাদারি করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মুন্না সাহা বলেন, পাবলিক সার্ভিস রুল অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারি করতে পারবে না। অর্থাৎ একই সঙ্গে সরকারি দুটি সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)