ইয়েমেনের মসজিদে সৌদির বিমান হামলায় নিহত ৭

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের ওমরান প্রদেশের একটি মসজিদে বিমান হামলার ঘটনায় দুই শিশুসহ পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত রবিবার ইয়েমেনের সোয়াদ শহরে সৌদি জোট বিমান হামলার সময় একটি মসজিদে আশ্রয় নেই ওই পরিবারটি। তারপরই সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়। তবে মসজিদে হামলার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের বড় দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছিল হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে। ইরান ড্রোন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করছে। তারপর হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

ড্রোন হামলা সম্পর্কে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তুরকি আল-মালকি বলেন, গত সপ্তাহে অস্ত্রের নির্ভুল হামলা ও তার ব্যাপ্তি হুতিদের সক্ষমতার বাইরে। ইরান হুতিদের সামনে নিয়ে আসতে চাইলেও এ হামলা ইয়েমেন থেকে ঘটেনি। এ হামলার উৎপত্তি উত্তর (ইরান) দিক থেকে হয়েছে। দক্ষিণের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে হামলার যে দাবি করা হয়েছে, তা সত্যি নয়।

মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি আর আরব বিশে^র সবচেয়ে গরীব দেশ ইয়েমেন। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। হাদির দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। 

কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।

ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/আরআর