ষষ্ঠবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা মেসি

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৩

তিন বছর পর ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। গতকাল রাতে ইতালির মিলানের অপেরা হাউস লা স্কালায় এক অনুষ্ঠানে তার হাতে সেরার সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। বার্সেলোনা তারকার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

ক্যারিয়ারে এই নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন মেসি। আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে পাঁচবার করে সেরার পুরস্কার নিয়ে যৌথভাবে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এই দুইজনের বাইরে আর কেউই পুরস্কারটি জিততে পারেননি। তাদের আধিপত্য ভেঙে গতবার সেরা হয়েছিলেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। উয়েফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা- তিনটি পুরস্কারই ঘরে তুলেছিলেন মদ্রিচ।

কিন্তু এবার পাল্টে গেল সেই চিত্র। এবারের উয়েফা বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছিলেন ফন ডাইক। আর ফিফার বর্ষসেরা হলেন মেসি। ‘দ্য বেস্ট’ নাম ধারনের পর এবারই প্রথম পুরস্কারটি জিতলেন মেসি।

২০১৬ সালে ফিফার পুরস্কারটি নতুন করে চালু হওয়ার পর প্রথম দুইবার জিতেছিলেন রোনালদো, আর গতবার হাতে উঠেছিল লুকা মদরিচের। এবার সেটার স্বাদ নিলেন মেসি।

জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কের ‍সঙ্গে ‍সাংবাদিক ও ভক্তদের ভোটে রোনালদো-ফন ডাইককে পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে মেসির হাতে ওঠে ফিফার ষষ্ঠ বর্ষসেরার পুরস্কার।

যদিও এবারের ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ফন ডাইককে। ডাচ ডিফেন্ডার উয়েফার বর্ষসেরার লড়াইয়ে এই মেসির সঙ্গে রোনালদোকে হারিয়েই প্রথমবার জিতেছিলেন পুরস্কারটি।

অনেকের মতেই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। তার খেলা দেখে সেই ১০ বছর আগের মেসির কথা মনে পড়েছে বারবার। গোটা মৌসুমে ৫১ ম্যাচ খেলে ৫০ গোল করেছেন, অনেক ম্যাচে বার্সেলোনাকে একাই বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও বগলদাবা করেছেন। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে মৌসুমটা উজ্জ্বল কাটলেও দলগত দিক দিয়ে তেমন সফলতা পাননি এ আর্জেন্টাইন তারকা। সেটি ক্লাবের ক্ষেত্রে হোক বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। মেসির অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুফল শুধু লিগেই নিতে পেরেছে বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগ আর কোপা দেল রে জেতা হয়নি। আর্জেন্টিনাও কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে এ বছর। তবু ফিফার সেরা হতে এটুকুই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছরের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৯ সালেএর ১৯ জুলাই পর্যন্ত পরবর্তী এক বছরে ইউরোপে খেলা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে দেওয়া হয়েছে সম্মানজনক এই পুরস্কার। কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও সমর্থকদের ভোটকে সমান ২৫ শতাংশ ধরে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :