এনআরসি আতঙ্ক, পশ্চিমবঙ্গে একজনের অত্মহত্যা
ভারতের আসামে নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গেও এমন তালিকা হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। যদিও মমতা সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। তারপরও আতঙ্ক বিরাজ করছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আতঙ্কের কারণে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, এনআরসির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল রায়।
বছর ৪২ এর শ্যামল রায় পুরনো নথি জোগাড় করতে কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পুরনো নথি সংগ্রহ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। এ রাজ্যে এনআরসি হলে তার নাম বাদ পড়তে পারে, এই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করে তাকে।
ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ময়ান্তি রায়। এর আগে ময়নাগুড়িতেও এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন অন্নদা রায় নামে এক ব্যক্তি।
আসামের জাতীয় নাগরিকের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও। এরই সঙ্গে অনুঘটকের মতো কাজ করেছে বিজেপি নেতাদের ক্রমাগত হুঁশিয়ারি। যথাযথ নথি না থাকলে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় পাচ্ছেন অনেকে। এরইমধ্যে জেলাজুড়ে আধার কার্ডসহ একাধিক পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। রোজ দীর্ঘ লাইন হচ্ছে সেখানে।
ঢাকা টাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/একে