শেরপুরের নির্যাতিত কিশোরের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

মোবাইল চুরির অপবাদে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরের পাশে দাঁড়িয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কিশোরটির পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছেন।

বুধবার বিকালে ইউএনও আরিফুর রহমান কিশোর মনিরুল ইসলাম ওরফে পুতুরার বাড়িতে গিয়ে তার চিকিৎসা সহায়তা বাবদ নগদ পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেন।

জানা গেছে, গত রবিবার উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামে আলী হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় আলী হোসেনের পরিবার ওই কিশোরকে সন্দেহ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় যুবক ইসহাক ও রবিউলসহ অন্যরা ওই কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে এনে নগ্ন করে বেধড়ক শারীরিক নির্যাতন চালায়।

এতে ছেলেটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কিশোর বাড়ি চলে আসে। বর্তমানে সে বাড়িতেই আছে।

এদিকে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব দরিদ্র অসহায় ওই কিশোরের খোঁজখবর নিতে ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুবনা শারমিনকে নির্দেশ দেন।

পরে দুই কর্মকর্তা কিশোরের রাজনগর বন্ধুপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তার পরিবারের কাছে নগদ পাঁচ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা হিসাবে তুলে দেন।

এ সম্পর্কে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কিশোরের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব।

এদিকে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ইসহাক মিয়া ও রবিউল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের হাকিম মোহসিনা হোসেন তুশি আগামী রবিবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/বিইউ)