লোকমান দুই ও খালেদ ১০ দিনের রিমান্ডে
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে দ্বিতীয় দফায় দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী লোকমানের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইন মঞ্জুর করেন খালেদ মাহমুদের রিমান্ড আবেদন।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে কোটি কোটি টাকা আয়ের পর তা ভাগভাটোয়ারার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার দিবাগত রাতে লোকমানকে তার মণিপুরী পাড়ার বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-২-এর কার্যালয়ে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান জানান, ক্লাবের ক্যাসিনোর টাকা তিনি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের কাছে পাঠাতেন। সাঈদের মাধ্যমে টাকা কোথায় রাখতেন, দেশে নাকি বিদেশে পাঠাতেন, সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। র্যাব অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান র্যাবকে তার ৪১-৪২ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে লোকমানের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ২৬ বছর ধরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুটি পদের অপব্যবহার করেই তিনি ক্লাবটি ক্যাসিনো চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু হয়।
এদিকে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে পাঁচ দিন করে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে র্যাব। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় চারদিন ও মাদক মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। গ্রেপ্তারের বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। ওইদিনই তার মালিকানাধীন ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র্যাব।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ জুয়া-ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র্যাব। এখন পর্যন্ত ২১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে ২০১ জনকে। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম এবং কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজসহ ১৩ জন রিমান্ডে আছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/জেবি)