বাঁধ ভেঙে ১২ বাড়ি পদ্মায়, আতঙ্কে চার গ্রামের মানুষ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৩৭ | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:২৩

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ‘নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ বাঁধের ২৮০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কেদারপুর গ্রামের ১২টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে যাওয়ায় আরো ৫০টি বসতবাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এ খবরে গতকাল সকালে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভাঙন রোধে ওই অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করেছে পাউবো। যাদের বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, তাদের ১০ হাজার টাকা ও যাদের ঘর সরিয়ে নেয়া হচ্ছে- তাদের মধ্যে ২৪ জনকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোত বেড়েছে। স্রোতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নড়িয়া রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার অংশে ধস দেখা দেয়। ওই ধস ঠেকাতে পাউবোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাধুর বাজারের ওই স্থানের পাশে হঠৎ ধস শুরু হয়। মুহূর্তে তীর উপচে নদীর পানি উঠে যায়। আর বালুভর্তি জিও ব্যাগগুলো নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। আস্তে আস্তে তীরের পাশের মাটি ধসে যেতে থাকে।

কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান জানান, তীর রক্ষা বাঁধে ধসের খবরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তীরের মানুষ বাড়ি ঘর ফেলে নিরাপদ স্থানে সরে যায়। ১২টি বসতঘর ও একটি মসজিদ বিলীন হয়ে যায়।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত বছর নড়িয়ার আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন ছিল। ভাঙনে ওই এলাকার সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়।

শরীয়তপুর পউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ও ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘নদীতে পানি ও স্রোত বাড়ার কারণে ৪০ মিটার জায়গায় বালুর জিও ব্যাগ নিচে দেবে যাচ্ছিল। তখন ওই স্থানে সার্ভে করা হয়। সাথে সাথে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করি। চার দিনের মধ্যেই স্থানটি ঝুঁকি মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সাধুর বাজারের পাশে হঠাৎ কেন ধস শুরু হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘নড়িয়া প্রকল্পটি অনেক বড়। ওই প্রকল্পের কাজ করার কারণে এ বছর নড়িয়ার ভাঙন ঠেকেছে। নদীতে স্রোত ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু একটি জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাউবো কাজ করছে। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই ভাঙন থেমে যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :