বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আলোর পথে হাঁটছে বাংলাদেশ

ড. কাজী এরতেজা হাসান
| আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৩৬ | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৩৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার পিতা শেখ মুজিব’ প্রবন্ধে লিখেছেন- ‘বাইগার নদীর তীর ঘেঁষে ছবির মত সাজানো সুন্দর একটা গ্রাম। সে গ্রামটির নাম টুঙ্গিপাড়া। বাইগার নদী এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে মধুমতি নদীতে। এই মধুমতি নদীর অসংখ্য শাখা নদীর একটা হলো বাইগার নদী। নদীর দুই পাশে তাল তমাল, হিজল গাছের সবুজ সমারোহ।... আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে। বর্ষার কাঁদা পানিতে ভিজে।’

‘৪৭ এর দেশভাগের উত্তাল রাজনীতির সময়ে এমনি এক মনোমুগ্ধকর গ্রামীণ পরিবেশেই আজকের এই দিনে (২৮ সেপ্টেম্বর) জন্ম হয়েছিল আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশের রূপকার, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দেশকে সামনের পথে এগিয়ে নিতে জাতীয় স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও প্রয়োজন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর স্বপ্ন দেখেছিলেন কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেননি। তারই সুযোগ্য কন্যা সেই অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, মানবকল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করছেন। দেশের উন্নয়নে নানামুখী প্রকল্পও হাতে নিয়েছেন। একক নেতৃত্বের ক্যারিশমায় তিনি অবিচল নিষ্ঠা আর সততার সঙ্গে দেশকে এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধিতে ভূষিত শেখ হাসিনাই এখন পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের পরিচয়।

আমি গর্ববোধ করেই বলতে পারি, আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ তার হাত ধরেই উন্নত দেশের তালিকায় ঠাঁই করে নিবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের কল্যাণে মৃত্যুভয়কে জয় করে তিনি এগিয়ে চলছেন দৃঢ় প্রত্যয়ে। তিনি সবার প্রধানমন্ত্রী হলেও নিরহংকারী এই মানুষটিকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হওয়ার সময় দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটা ধর্মপরায়ণ মানুষ। হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় তিনি বিমানে বসে কম্পাসের মাধ্যমে দিক নির্ণয় করে সেখানে সময় মতোই নামাজ আদায় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রমের কথা সবাই জানেন। তবে তার ধর্মপরায়ণতার বিষয়টি সবাইকে জানানোর গত বছরই ‌আমার সম্পাদনায় ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা’ বইটি করেছি। এই বইটি নিজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাসের গ্রান্ড মুফতি শেখ মুহাম্মদ আহমেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা’ বইটি উপহার দিলে তিনি এমন কাজের জন্য উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। এছাড়াও আল আকসা মসজিদের গ্রান্ড মুফতিকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টুঙ্গিপাড়ার মাজার শরীফ এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যাওয়াতে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন।

আমি খুব কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার সুযোগ পাওয়াতে একটা বিষয় খুব স্পষ্টভাবে মনে ধরেছে তাকে নিয়ে। তা হলো-তিনি মমতাময়ী, মা জননী এবং ধর্মপ্রাণ একজন কর্মঠ মানুষ। মহান সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে বাদ দিয়ে রাতদিন দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন।

বইটি উপহার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উদ্দেশ্য করে তার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রেস সচিব প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এস এস এফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের সামনেই আমাকে যে অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন, তা আমার আমৃত্যু মনে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন তার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মচিন্তা’ বইটি যেন তার শোয়ার ঘরে বিছানায় মাথার পাশে রাখা হয়। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ধর্মচিন্তা নিয়ে এমন তথ্যবহুল বইটি লেখার জন্য বিশেষ উৎসাহ প্রদান করেন। এই উৎসাহ থেকেই জামায়াত বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ কপি বই নিজ উদ্যোগে বিতরণ করেছি। বইটিতে ইসলাম ধর্ম ছাড়াও সকল ধর্মের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরাগ এবং ভালোবাসার প্রতিরূপ হিসাবে গৃহীত নানা উদ্যোগকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

আরেকটা বিষয় অবতারণা না করলেই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার পর হাইকোর্টে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাবহনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়; আমার অভিভাবক হিসাবে তিনি আমাকে সাহস দিয়েছিলেন; সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার জন্য। আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা শুনেও তিনি খুশি হয়েছিলেন।

জীবদ্দশায় শেখ হাসিনা তার বাবার দেখা পেতেন কদাচিৎ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর আন্দোলনে অগ্রপথিক হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেল জীবন ছিল নিত্য সহচর। আন্দোলন সংগ্রামই ছিল তাঁর যাপিতজীবন। এ কারণে পুত্র-কন্যারা পিতার সান্নিধ্য পেয়েছে খুবই কম। শেখ হাসিনার পাঁচ ভাই-বোন। কনিষ্ঠদের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। শেখ হাসিনা গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সপরিবারে ঢাকায় আসেন। তিনি পুরান ঢাকার মোগলটুলির রজনী বোস লেনে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হলে ৩ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন বসবাস করেন কিছু সময়। ওই সময় শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে আসেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এই বাড়িতেই ছিলেন।

১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশীবাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। সে বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহ-সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় তিনিও মানবসেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় ১১ দফা আন্দোলন ও ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলুম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি একবিন্দু।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রথমবারের (১৯৯৬-২০০১) শাসনকাল চিহ্নিত হয় স্বর্ণযুগ হিসেবে।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করে। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। চিরতরে পঙ্গু হন অসংখ্য নেতাকর্মী।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনের অবসান হলে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে আসীন হন। শেখ হাসিনা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। শুরু হয় গণআন্দোলন। বাতিল হয় পাতানো নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইয়াজউদ্দিন। ঘোষিত হয় জরুরি অবস্থা। ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

১/১১-এর পর শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য হাজির করা হয় ‘মাইনাস টু’ তত্ত্বের। শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে আসার সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু পিতার সংগ্রামী রক্ত যার শরীরে তাকে দমায় কে? শেখ হাসিনা সরকারি নিষেধাজ্ঞা, ষড়যন্ত্র ও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে ২০০৭ সালের ৭ মে ফিরে আসেন প্রিয় স্বদেশভূমে।

এর মাত্র দু’মাস পর ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় সংসদ এলাকায় একটি অস্থায়ী কারাগারে তাকে বন্দি করে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা। কারাগারে তার জীবননাশের ষড়যন্ত্র চলে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। এককভাবে আওয়ামী লীগই লাভ করে তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। গঠিত হয় মহাজোট সরকার।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি আজ বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হয়ে পুরো বাঙালি জাতিকে আলোর পথ দেখাচ্ছেন। এমন মহান নেত্রীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশিদের আশার বাতিঘর শেখ হাসিনা যেন সুস্থ থাকেন এবং দীর্ঘায়ু হন-এই দোয়াই করি।

লেখক: সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :