হ্যাম রেডিও সিটি ডিএক্সপিডিশন অনুষ্ঠিত

আসাদুজ্জামান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:০৯ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৪

রাজধানী ঢাকায় অবস্থানরত অ্যামেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিও অপারেটরদের নিয়ে সিটি ডিএক্সপিডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী এই এক্সপিডিশন চলে। এতে হ্যাম রেডিও অপারেটরা হ্যাম ফ্রিকোয়েন্সিতে সিমপ্লেক্সে নিজেদের মধ্যে রেডিও দিয়ে কথা বলেন।

এই প্রথমবারের মতো যৌথভাবে সিটি ডিএক্সপিডিশনের আয়োজন করে ফেসবুক ভিত্তিক অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের বিভিন্ন সংগঠন। এতে বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগ, অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও ক্লাব এবং মাদারীপুর অ্যামেচার রেডিও ক্লাবের হ্যাম সদস্যরা অংশ নেন।

আয়োজনের অংশ হিসেবে ঢাকায় অবস্থানরত হ্যামরা ভিএইচএফ ও ইউএইচএফ-এ ৪৩৩.৫০০ মেগাহার্জ এবং ১৪৫.৫০০ মেগাহার্জে সিমপ্লেক্সে এক স্টেশনের জন্য অপর স্টেশনের কিউএসও সম্পন্ন করেন।

এই এক্সপিডিশনের উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগের সময় ঢাকা শহর আক্রান্ত হলে হ্যাম রেডিও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। যাতে করে দুর্যোগের সময় হ্যামরা রেডিও যোগাযোগ স্থাপন করে সরকারি-বেসরকারি উদ্ধারকারী দলকে সহযোগিতা করতে পারে।

সিটি ডিএক্সপিডিশনের নেট কন্ট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিয়েরা টোয়েন্টি ওয়ান ভিক্টর ইউনিফর্ম। তাকে সহযোগিতা করেন সিয়েরা টোয়েন্টি ওয়ান লিমা ইকো।

সিয়েরা টোয়েন্টিওয়ান ভিক্টর ইউনিফর্ম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শহরের সুউচ্চ ভবনগুলো রেডিও যোগাযোগের অন্তরায়। তারপরও শহরের বিভিন্ন প্রান্তের অ্যামেচার রেডিও অপারেটরগণ চেষ্টা করেছেন হাতে বানানো অ্যান্টেনার মাধ্যমে রেডিও যোগাযোগ স্থাপন করতে।’

এই ধরনের ডিএক্সপিডিশন ভবিষ্যতে প্রতি মাসে একবার করে আয়োজন করা হবে বলেও তিনি জানান।

অ্যামেচার রেডিও পরিচালনা করা একটি শখ। একটি বেতারযন্ত্র দিয়ে অন্য একটি বেতারযন্ত্রে কথা বলা বা তথ্য নেওয়া-দেওয়াই হলো অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের কাজ। এই অপারেটররা পাহাড়ের চূড়া, নিজের বাসা অথবা গাড়িতে বসে চাইলে মহাকাশযানের নভোচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। নভোচারীদের সবাই হ্যাম। মহাকাশে যাওয়ার সময় তারা সবাই কল-সাইন ব্যবহার করে অন্য হ্যামদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও হ্যাম রেডিও ব্যবহার করে আপদকালীন সময়ে রেডক্রসের মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে উদ্ধারকাজেও অংশ নিতে পারবেন।

মূলত বেতারযন্ত্রের সাহায্যে অ্যামেচার রেডিও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাতছানি। উপরি হিসেবে বিপদ-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ তো আছেই। তবে এই রেডিও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। মূলত শখ মেটাতেই এই রেডিও ব্যবহারের লাইসেন্স পেতে পারেন। পরীক্ষার মাধ্যমে এই লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা