যশোর পৌরসভায় যুক্ত হচ্ছে আরও ছয় ইউনিয়ন

যশোর সদর উপজেলায় যুক্ত হচ্ছে আরো ছয়টি ইউনিয়ন। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ ইউনিয়নগুলোকে পৌরসভা বলে ঘোষণা দেয়া হবে জানান যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, কিছু প্রক্রিয়া শেষে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছে পৌঁছে গেছে।

তবে, অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন কয়েকটি ইউপির চেয়ারম্যান ও বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এতে দুর্ভোগ বাড়বে।

নতুন যুক্ত হতে যাওয়া ইউনিয়নগুলো হচ্ছে সদর উপজেলার উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর, ফতেপুর, রামনগর ও চাঁচড়া ইউনিয়ন।

নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে থাকছে উপশহর ইউনিয়নের বিরামপুর মৌজার ১১৩ দাগ, শেখহাটি মৌজার ১৮৫ দাগ, কিসমত নওয়াপাড়ার ৬৯৭ দাগ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদাগ্রামের ১ থেকে ৩৫০ দাগ। আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গার ২৩৫ দাগ, ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর মৌজার ৩১০ দাগ, বালিয়াডাঙ্গা মৌজার ৪৪০ দাগ, রামনগর ইউনিয়নের রামনগর মৌজার ৪৭৮ দাগ, মুড়লী মৌজার ১৬২ দাগ, মোবারককাঠি মৌজার ৩৫৫ দাগ ও চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া মৌজার ৪১৩ দাগ।

যশোরের পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, ১৮৬৪ সালে যে সীমানা নিয়ে যশোর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছিল তা আর বাড়েনি। উপরন্তু শহরের অনেক জায়গা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত। তারা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জায়গার অভাবে পৌরসভার অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছে না। শহরের অন্তর্ভুক্ত জায়গা নিয়ে যদি যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করা যায়। তাহলে আরো বেশি উন্নয়ন হবে। নাগরিকের সুযোগ সুবিধা বাড়বে।

উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেব।

আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন, সরকার পৌরসভার সীমানা বাড়াচ্ছে জানতাম না। আমার ইউনিয়নের কতটুকু জায়গা নেয়া হবে জানি না। তাই চিঠি পড়ে বুঝে সিদ্ধান্ত নেবো।

যশোর উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা রেজাউল হক বিন্দু জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় বসবাস করে ভালোই আছি। ভাল নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। এটা যদি পৌরসভার মধ্যে যায় তাহলে নাগরিক সেবায় দুর্ভোগ নেমে আসবে।

একই কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি।

এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, ইউনিয়নের জায়গা পৌরসভার মধ্যে নেয়ার ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে চেয়ারম্যানরা আপত্তি জানাতে পারবেন। এরপর গণশুনানি হবে। শুনানি শেষে আগামী তিন মাসের মধ্যে পৌরসভা ঘোষণা দেয়া হবে।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ধারা-৩ উপধারা-৪ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত আপত্তি সমূহ ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য সরকারের পক্ষে যশোর জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/ইএস