চাঁদপুরে ব্যবসায়ী হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রধান মেম্বারকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মতলব উত্তর উপজেলার কোয়রকান্দি এলাকার আব্দুল কাদির ফকিরের ছেলে আবুল কালাম (৫০), মো. বাবুল (৪২), মো. খোকন (৪৫) ও কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদী থানার আশুরকান্দা এলাকার ফল্লু মিয়ার ছেলে মো. লিটন (১৯)।
 
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই রাত ১১টার দিকে নিহত আব্দুল মতিন প্রধান নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার থেকে একজন অপরিচিত কাপড় ব্যবসায়ীকে এগিয়ে দেয়ার জন্য সুজাতপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুজাতপুর হতে দাসের বাজার সংযোগ ঘোড়াইর কান্দি গ্রামের জনৈক সফিকুল ইসলামের বাড়ির দক্ষিণ দিকে এসে পৌঁছলে অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রাস্তার উপরে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে তার পকেটে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার ছেলেকে সংবাদ দেন। আর সেখান থেকে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেকে নিয়ে চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই উল্লেখিতদের অভিযুক্ত করে মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বাদী নাছিমা বেগম বলেন, আমার পিতা ও আসামিরা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। তাদের সম্পত্তিগত সমস্যা নিয়ে আমার পিতা শালিশী বৈঠকের রায় দেন। ওই রায় তাদের পক্ষে না হওয়ায় বিরোধ দেখা দেয়। সেই ক্ষোভেই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্লাহ বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় পড়ে শুনানো হয়। মামলায় আদালত ১৮জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
 
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার হোসেন অভি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন তবদিল হোসেন।

ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/ ইএস