শামীমের সাত দেহরক্ষীর জামিন নাকচ
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
অস্ত্র আইনের ওই মামলায় রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন জামিন শুনানি করেন।
সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ আসামিদের চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রবিবার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করে। একইদিন তাদের মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর এ সাত আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই দিন জি কে শামীমের অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বিশেষ অভিযানে গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমসহ সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় আসামি শামীমের ৩২ বোরের কাঠের বাটযুক্ত ৩৭ রাউন্ড গুলি ও তিনটি গুলির খোসা পাওয়া যায় এবং পাঁচ বোতল বিদেশি মাদ পাওয়া যায়। দেহরক্ষীদের কাছ থেকে ১২ বোরের একটি করে শর্টগান পাওয়া যায়। আসামি শামীম একজন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। দেহরক্ষীরা আসামি শামীমের দুষ্কর্মের সহযোগী। তাদের সহায়তায় তিনি নিজ নামীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে জানা যায়। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি মুদ্রা এবং এফডিআর উদ্ধার হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)