মতিঝিলের মামলায় খালেদের গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি পেছাল

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৭
ফাইল ছবি

মতিঝিল থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি পিছিয়েছে সিএমএম আদালত।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম আকন্দ খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ২৯ সেপ্টেম্বর ঠিক করেন। একই সঙ্গে খালেদকে শুনানির সময় আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

সে অনুযায়ী রবিবার গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গুলশান থানার মামলায় খালেদ বর্তমানে রিমান্ডে থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় একই বিচারক ফের খালেদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

সিএমএম আদালতের জিআর শাখা সূত্র জানিয়েছে, খালেদ বর্তমানে গুলশান থানার মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। ওই রিমান্ড শেষে যেদিনই তাকে আদালতে হাজির করা হবে সেইদিন মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় খালেদের চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে ফের গত ২৭ সেপ্টেম্বর উভয় মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

মতিঝিল থানার মামলার আবেদনে বলা হয়, মামলাটির এজাহারনামীয় পলাতক আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তিনি গুলশান থানার অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে তার গুলশান বাসা তল্লাশি করে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ দেশি/বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তিনি জানান, মতিঝিলের ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলার ৪০২ নম্বর রুমে ভূঁইয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে ব্যবসার আড়ালে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করা হতো। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাক্ষীদের সামনে তার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালান। তল্লাশিকালে তার অফিস থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা, দেশি ও বিদেশি বিয়ার, সিসা, গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামির দখলে আরও বিপুল পরিমাণ সিসা, বিদেশি বিয়ার ও ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ আছ। তাই তাকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিপুল পরিমাণ সিসা, বিদেশি বিয়ার ও ইয়াবা ট্যাবলেট এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে গুলশান ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনের আরেকটি মামলা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :