আতসবাজি আর মিষ্টি মুখে থামল গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

উপাচার্যের পদত্যাগে এক দফা দাবিতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারো দিনের আন্দোলন থেমেছে মিষ্টি মুখ করে।

সোমবার বিকালে বিশ^বিদ্যালয়টির উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। নেচে গেয়ে রং খেলায় মেতে উঠে। তারা একে অপরকে রং দিয়ে রাঙিয়েছেন। নেচে গেয়ে আনন্দ করেছে শিক্ষার্থীরা। আতসবাজি ফুটিয়েও উল্লাস করা হয়েছে ক্যাম্পাসে। পরে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেয়া হয়।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টায় প্রেস ব্রিফিং করে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল গালিব।

শুধু ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অপসারণই নয় তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দুদকের প্রতি আবহান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিসির দোসররা যেন কোনও শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিতে হবে।

এসময় তিনি ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি নাসিরউদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। সেসব অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। একইসঙ্গে তারা আশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কাজ ও যেসব কাজ এখনও শুরু হয়নি তা যেন শুরু করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর মো. নুরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, উপাচার্য্য নাসির উদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিক্ষাার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন। এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিচ্ছি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর যাতে পুনরায় ক্লাস পরীক্ষা শুরু করা যায় তার জন্য দ্রুততম সময়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।’

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কালীর অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/প্রতিনিধি/ডিএম)