ফরিদপুরকে শিক্ষা নগরী করার ঘোষণা ডিসির

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৩৩

বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুর জেলার শিক্ষাব্যবস্থাকে উচ্চতম মাত্রায় নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষককে সাথে নিয়ে এ জেলাকে শিক্ষার নগরী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বুধবার দুপুর ১টায় ফরিদপুর শিশু একাডেমির মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এ ঘোষণা দেন। বিশ্বে শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর পাঁচ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। 

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘শিক্ষা বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলার শিক্ষার মানকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই।’
এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বক্তারা বর্তমান সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমে ইন্টারনেট গতির অপ্রতুলতা, ম্যানেজিং কমিটির দৌরত্ম্য, কোচিং সেন্টারগুলোর দৌরাত্ম্য, শিক্ষকদের অসহায়ত্ব, পর্নগ্রাফির কারণে অবক্ষয়, মাদকসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে তাদের মতামত দেন।     

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষকরা সমাজ গড়ার মূল কারিগর। আর আপনারা (শিক্ষকরা) যদি আন্তরিক থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তাহলেই সমাজ উন্নত হবে। সরকার শিক্ষকদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। ধীরে ধীরে সকল সমস্যার সমাধান সরকার করছে। আর জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে, ফরিদপুরকে শিক্ষার নগরে পরিণত করতে কোন আপস আমরা করব না।’ 

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার সন্তান। আর তিনি ফরিদপুরের হয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন। তাহলে আমরা কেন দেশের মাঝে শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ হতে পারব না।’
এসময় তিনি অচিরেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পাঠাগার করার নির্দেশ দেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০ ভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে উপস্থিত সকলের কাছ থেকে অঙ্গিকার নেয়ারকালে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের হাতে দেশের ভালো-মন্দ নিহিত। শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক হবে ভালবাসার। তা না হলে দেশের যে অবক্ষয় পালা তা শেষ হবে না। আর দেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষকদের এ দায়িত্ব নিতে হবে।’

ফরিদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 
সকল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষা অফিসার বিষ্ণু পদ ঘোষাল। সভা সঞ্চালনা করেন, ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ জামশেদ,  ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদুন নাহার পান্না ও আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদিন। 

অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবা আক্তার ও ঈশান ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইউসুফ আলী। 
শেষে, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মুঠোফোনের মাধ্যমে সকল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এসময় তিনি শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।

(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/এলএ)