বাঁশ শিল্পে সংগ্রামী জীবন

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০৮ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম

স্বামীর সাথে চাটাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন হাছিনা বেগম। দুই সন্তানের লেখাপড়া আর এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এ কাজ করেই। নিরন্তর সংগ্রামী হাছিনা আগে এ কাজ না জানলেও বিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে চাটাই বানানোর কাজ শিখেছেন। ওই গ্রামে হাছিনার মতো অনেকেই এখন চাটাই বানানোর কাজ করেন।

উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ৫০০ পরিবারের একমাত্র পেশা বাঁশ শিল্প। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের টশাপাড়া, কাসারীয়ার ঘাট, চড়ুয়াপাড়া, বগাপাড়া গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমজীবী পরিবারের বসবাস। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই পেশা বাঁশশিল্প। বাঁশের তৈরি জিনিষ বিক্রি করেই সংসার চলে তাদের। বছরের পর বছর ধরেই তারা বাঁশ দিয়ে ডালি, টালা, কুলা, মাছ ধরার উপকরণ, ধান রাখার ডোল, ডুলি, হাতপাখা, চালুন, ঘরের ছাদ তৈরি করে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করে আসছে। এ ছাড়া উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, ভাসাপাড়া, উচাভিটা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এ কাজের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন।

এদিকে চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের পাটোয়ারী, ময়নার খামার, বনগ্রাম, ফকিরের হাট, মজারটারি গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার এ কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব গ্রামের তৈরি বাঁশের চাটাই যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সরেজমিনে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের টশা পাড়ায় উপল আলী, নুর মোহাম্মদ, বেবি বেগম, জাহিদুল ইসলাম, ফজলুল হকসহ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, এ পেশায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন। বাঁশের তৈরি উপকরণ বিক্রি করে দিব্যি সংসার চলে তাদের।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/এলএ)