আলফাডাঙ্গার পাঁচুড়িয়ায় মধুমতির ভয়াবহ ভাঙন

মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, আলফাডাঙ্গা
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৩৬

মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একটি গ্রাম, কয়েকশ বাড়িঘর, ফসলি জমি, সড়ক ও মসজিদ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, সড়ক, খেলার মাঠ, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারো ভাঙছে মধুমতি নদী। ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁচুড়িয়া পুরো গ্রাম, উত্তর চর-নারানদিয়া গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি, বাঁশতলা বাজার থেকে বোয়ালমারী যাতায়াতের পাকা সড়কের এক কিলোমিটার, পাঁচুড়িয়া মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে চলে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙনের মুখে রয়েছে পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচুড়িয়া-চর-নারানদিয়া ঈদগাহ, দক্ষিণ পাঁচুড়িয়া ঈদগাহ, দক্ষিণ পাঁচুড়িয়া মসজিদ, উত্তর চর-নারানদিয়া কিউ.জি নুরানি মাদ্রাসা, বাঁশতলা বাজার, বাঁশতলা মসজিদ, উত্তর চর-নারানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চরনারানদিয়া চারটি মসজিদ, বাঁশতলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, চাঁদড়া মন্দির, উত্তর চরনারানদিয়া মন্দির, উত্তর চরনারানদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক সড়কসহ শতশত বাড়িঘর।

এবারের নদীভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের অর্ধশতাধিক পরিবার। ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। কয়েকটি পরিবারের অন্যত্র বাড়িঘর করার সামর্থ্য থাকলেও বেশিরভাগ মানুষেরই নেই সেই সামর্থ্য। এতে বেকায়দায় পড়েছেন তারা।

এখনো যাদের ঘরবাড়ি নদীর তীরে আছে, তারা আছেন মহাআতঙ্কে। কারণ, যেকোনো সময় তাদের ঘর, গাছপালা ও জমি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। এ পরিবারগুলো উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চলতে থাকলেও কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এতে ভাঙন আগ্রাসী আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জিও ব্যাগ বালিভর্তি করে নদীতে ফেললেও তা দিয়ে ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না।

মধুমতি নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) সন্তোষ কর্মকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিম চর-নারানদিয়া, দক্ষিণ চর-নারানদিয়া এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা, তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। সারাদেশেই নদী ভাঙন আছে, তাই দ্রুত কোনো প্রকল্প নেওয়া সম্ভব না। তবে ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা পাউবোর রয়েছে। এ ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/জেবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :