ইয়াবায় ফাঁসানোর হুমকি, এসআইসহ পাঁচ পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরা দুই ব্যক্তিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি এবং মারধরে অভিযোগে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালামসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে রাজধানীর আজিমপুরের বটতলা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার ওই পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত একটার দিকে বাসায় ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর আলম ও মো. রিয়াদ নামের দুই ব্যক্তি। বাসার কাছে পৌঁছাতেই টহলে থাকা পুলিশের সদস্যরা তাদের ডাকেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ইয়াবা দিয়ে তাদের ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। ওই সময় প্রতিবাদ জানাতে গেলে দুই সাংবাদিককেও মারধর করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আশরাফ উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর চারজন কনস্টেবলকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক কাজী মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যার পর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কনভেনশন হলে তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা ছিল। অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় ফিরতে মধ্যরাত হয়ে যায়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি থেকে আসা তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও ভাতিজা মো. রিয়াদ রাত একটার দিকে গাড়িতে করে আজিমপুরের বটতলা এলাকায় বাসার সামনে এলে এই ঘটনা ঘটে।

মোবারকের অভিযোগ, ‘বটতলা এলাকায় লালবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও ভাতিজা মো. রিয়াদের কাছে এত রাতে বাইরে থাকার কারণ জানতে চান। তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বললেও কালাম তাদের গাড়িতে উঠতে বলেন। বলা হয়, তাদের কাছে ইয়াবা আছে। একপর্যায়ে বড় ভাইকে মারধরও করা হয়।

মোবারক বলেন, মারধরের ঘটনার একপর্যায়ে তাদের গাড়িটি বটতলা এলাকায় পৌঁছালে গাড়ি থেকে নেমে তিনি পুলিশ সদস্যদের কাছে নিজের ভাইকে মারধরের কারণ জানতে চান। এর মধ্যে লালবাগ থানার ওসি (অপারেশনস) আসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তখন এনটিভির সাংবাদিক ফখরুল শাহীন মুঠোফোনে ছবি তুলতে গেলে তাকে থাপ্পড় দেন আসলাম। একপর্যায়ে মোবারকের কলার চেপে ধরে তাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টাও করেন তিনি।

তবে পুলিশ কর্মকর্তা আসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।  সাংবাদিক জানলে এমনটা হতো না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজির আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে প্রতিটি অভিযোগই নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে বিভাগীয় মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এএ/জেবি)