‘যারা বেটাকে ছিনিয়ে নিলো তাদের শাস্তি চাই’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:১৬

‘আমার বেটা (ছেলে) লাখে একটাও হয়না রে...। সবার ঘরে বেটা থাকতে পারে আমার বেটার মতো বেটা ছিলো না। আমার ছেলে কোনদিন জোরে করে কারো সাথে কথা বলেনি। কোন রাজনীতির মিছিলে যায়নি। যেখানে রাজনীতির আলাপ করে সেখানেও যায়নি। আমার বেটা শুধু লেখাপড়া নিয়েই থাকতো। আমার বেটা চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চারটাতেই চান্স পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ মেধা তালিকায় ১৩ নম্বরে ছিলো। আমার বেটার কারা এই কাজ করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা আমার বেটাকে ছিনিয়ে নিলো তাদের শাস্তি চাই।’

এই আহাজারি সন্তান হারা আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুনের। ছেলেকে হারিয়ে মা রোকেয়া খাতুন এখন পাগলপ্রায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) থেকে যে ছেলে লেখাপড়া শেষ করে বাড়ি ফিরবে, দেশের জন্য কাজ করবে সেই ছেলে ফিরল লাশ হয়ে। মা হয়ে এই কষ্ট সইবে কেমন করে।

সকালে আবরারের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পরই তার মায়ের বুকফাঁটা কান্নায় ওই এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মাকে যারা সান্ত্বনা দিতে যান তারাও ভেঙে পড়েন কান্নায়।

গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার কিছু সময় পর রায়ডাঙ্গা এলাকায় তৃতীয় জানাজা শেষে আবরারকে দাফন করা হয়।

এর আগে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফাহাদের লাশবাহী গাড়িটি কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডস্থ বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে সকাল সাড়ে ছয়টায় আল হেরা জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী ফাহাদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :