গ্যাস রপ্তানির ভুল তথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৭

খন্দকার এ.হাফিজ

আবারো গুজব সৃষ্টি করছে একটি অপশক্তি। হাতে কোনো ইস্যু না থাকায় গুজবকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে মোক্ষম হাতিয়ার হিসাবে। তবে আমি হলফ করে বলতে পারি বাংলাদেশের সচেতন শিক্ষিত সমাজ কখনোই গুজবকে পাত্তা দেননি। তবে গুজব সর্বদাই সাধারণ আম জনতাকে বিভ্রান্ত করে আর অপশক্তিকে পৈচাশিক আনন্দে আন্দোলিত করে।

আমরা জানি সম্প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর শেষ করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

আমরা লক্ষ্য করেছি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতবারই ভারত সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন ততবারই ঐ অপশক্তি গুজব ছড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমি কিন্তু আশা করেই বসেছিলাম এবার ওরা কোনো গুজব ছড়ায়-তবে এবার আমি ভেবেছিলাম ওরা চাপে আছে বিধায় গুজব যেহেতু ছড়াতেই হবে হয়তো তারা কাশ্মির নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান সংক্রান্ত কোনো কাহিনি সৃষ্টি করে একটা গুজব মাঠে ছাড়বে।

‘গ্যাস গুজব’ ছাড়বে সেটা ভাবিনি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে গ্যাস রপ্তানি হবে বলে গুজব ছাড়লো এবার। যদিও এটা অনেক পুরানো গুজব। পাবলিক খায় নাই।

আমি ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম এবং নিচে আসল ঘটনা জনস্বার্থে বিবৃত করলাম। দয়া করে পরে দেখবেন।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গ্যাস রপ্তানির খবরটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার মনে হয় ওরা বুঝে শুনেই ‘ইনটেনশনালি”এই গুজব ছড়াচ্ছে। দেখলাম এলপিজি সরবরাহ সংক্রান্ত এমওইউ স্বাক্ষরের খবরের পর কিছু বাম’রাও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। যারা এটা নিয়ে হৈ চৈ করছেন তাদের পুরা বিষয়টি ভালো করে জেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সরবরাহ সংক্রান্ত একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। ভারতের আইওসি মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় এলপিজি নিতে চায়। তারা পাইপলাইনে নিতে চেয়েছিল, আমরা রাজি হইনি। বাংলাদেশের দুটি কোম্পানি মোংলা থেকে লরিতে করে ত্রিপুরায় পৌঁছে দেবে। এতে করে তারা একটি কমিশন পাবে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের গ্যাস কিংবা এলপিজির কোনো সম্পর্ক নেই।

আমাদের দেশের একটি কোম্পানি এখনও ত্রিপুরা এবং নেপালে এলপিজি সরবরাহ করছে। এমওইউ এর আওতায় নতুন করে আরও দুটি কোম্পানি যুক্ত হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ করার কিছুই দেখছি না।

এলপিজি পরিবহনকে কিভাবে গ্যাস রপ্তানির কথা বলা হয়? যারা বুঝতে পারছেন না, তাদের অনুরোধ করব বিস্তারিত জেনে নেওয়ার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার অবস্থান। দেশ থেকে গ্যাস রপ্তানি করা হবে না। এর আগে বিএনপির সময় যখন গ্যাসের উপর ভাসছে দেশ বলে গ্যাস রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তখনও গ্যাস রপ্তানির বিরোধিতা করেছিলেন এই শেখ হাসিনা।

যারা এটা নিয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছেন। আমার মনে হয় তাদের হাতে কোন ইস্যু নেই। টিভি ক্যামেরার সামনে চেহারা দেখানোর জন্য আবারো তারা এটাকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছেন।

 লেখক: যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।