পদ্মায় তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
তীব্র স্রোত ও নব্য সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। সোমবার রাত আটটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফেরি বন্ধ থাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সহস্রাধিক যানবাহন। এতে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। হঠাৎ ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটের উভয় পাড়েই আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানা যায়, গত আগস্ট মাস থেকেই তীব্র-স্রোত ও নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহন আটকে আছে। পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট ও তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় চলতে পারছে না ফেরিগুলো।
কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে চারটি রোরোসহ মোট ১৮টি ফেরি থাকলেও উদ্ভূত সংকটের কারণে মাঝে মাঝেই চলাচল ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘসময় বন্ধও থাকছে ফেরি চলাচল। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না এই নৌরুটে চলাচলকারীদের।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরেই পদ্মা নদীর লৌহজং ও চায়না চ্যানেলে নাব্য সংকট দেখা দেয়। ফলে চ্যানেল দুটি অতিক্রম করতে গিয়ে ডুবোচলে আটকে যায় ফেরি। রাতে ফেরিগুলো বেশি আটকে যাওয়ায় প্রায়ই রাতে বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বুধবার কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের চারটি টার্মিনালে পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহম্রাধিক যানবাহন পরাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। চারটি ঘাটের পাশেই নোঙর করে রাখা আছে ডাম্ব, রো রোসহ একাধিক ফেরি। সোমবার রাত থেকে ফেরিগুলো অলস সময় পার করছে। ঘাটের সংযোগ সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিতে স্পিডবোট ও লঞ্চে ভিড় করছেন। গাড়ি আটকে থাকায় চালকেরা তাস খেলছে আবার কোনো কোনো চালক ঘাটেই গোসল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবদুস সালাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘চ্যানেলে নাব্য সংকট থাকায় ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ১৮টি ফেরির একটি ফেরি ঠিকমত চালাতে পারছি না। সোম ও মঙ্গলবার রাত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দিনের বেলায় কাকলি, কুমিল্লা ও ফরিদপুর ও তিনটি রো রো ছোট ফেরি স্বল্প যানবাহন লোড করে ছাড়া হলেও ফেরিগুলো ঠিকমত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘চ্যানেল ঠিক রাখা দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের। তারা নাব্য সংকট নিরসরে খননযন্ত্র বসিয়ে খনন কাজ করছে। কিন্তু তাদের কাজের বিষয় আমাদের কোনো ধারণা নাই। চ্যানেলে পলি অপসারণ হলে আমরা আবার আগের মতো স্বাভাবিক গতিতে ফেরি চালাতে পারবো। এমন পরিস্থিতে একটাও ফেরি চলানো সম্ভব নয়। তবে এই সমস্যা সমাধান কখন হবে তা ঠিক বলা যাচ্ছে না।’
(ঢাকাটাইমস/০৯অক্টোবর/জেবি)