মেয়ের বিয়ে দেয়া হলো না আকুব্বরের

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৯, ২০:১৫

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেয়া হলো না বাবা আকুব্বর হোসেনের। বিয়ের একদিন আগে বাড়ির পাশের লিচু গাছে আকুব্বরের লাশ ঝুলতে দেখেন স্বজনসহ এলাকাবাসী। পুলিশের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গাছটির ডালে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল আকুব্বর। এরপর লাশ নামিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বজনরা।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রথম স্ত্রীর স্বজনদের বিয়ের দাওয়াত দেয়া নিয়ে ‘ঝামেলা’ চলছিল দ্বিতীয় বৌয়ের সাথে। এ নিয়ে টেনশনে ছিলেন আকুব্বর।

প্রতিবেশীদের কথায়, পুলিশ ও সমাজপতিরা এসেছিলেন আকুব্বরের বাড়িতে। সবার সাথে ‘আপস’ করার পর লাশ দাফন করা হয়। পুলিশ লাশ দাফনে মৌখিক অনুমতি দেয়। লাশ থানায় নিয়ে যায়নি পুলিশ।

স্বজনরা জানান, উপজেলার ধানুয়াঘাটা গ্রামের এক ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান কাল ঠিক করেছিলেন আকুব্বর। এ জন্য বিয়ের বাজারও শেষ করেছিলেন তিনি। স্বজনদের বেশিরভাগকে দাওয়াত দেয়া শেষ হয়েছিল।

প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আকুব্বর। ঘরে তার প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রীসহ দ্বিতীয় বৌয়ের এক ছেলে রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন থানার এসআই মনির উদ্দিন। তার কথায়, সন্দেহ করার মতো কোন উপসর্গ না থাকলে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা যায়। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে ও তদন্ত করেই আমি এটা নিশ্চিত হয়েছি।

ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, আমি ছুটিতে আছি। আইও বিস্তারিত বলতে পারবেন।

আকুব্বরের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মেয়েসহ স্বজনরা। মেয়ের বিয়ের একদিন আগে কেন আত্মহত্যা করলে আকুব্বর? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মনে।

(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/এলএ)