নির্দোষ হলে মুক্তি, দোষী হলে বিচার চান রবিনের বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৬ | প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৩
মেহেদী হাসান রবিন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ। বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে উত্তাল দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের একটাই দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যার বিচার।

দেশের আপামর জনসাধারণ যখন এই হত্যার বিচারের দাবিতে একমত তখন এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বাবা-মায়েরাও হতবাক। তারাও মনে করছেন, একজন মেধাবী ছাত্রকে কিভাবে মেধাবী ছাত্ররা পিটিয়ে হত্যা করতে পারে। নিজেরাই নিজেদের কাছে প্রশ্ন করছেন বারবার। এটা কিভাবে সম্ভব। নিজেদের মধ্যে অনুশোচনা হচ্ছে বারবার।

আবরার হত্যায় যাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজন মেহেদী হাসান রবিন। আবরারকে ‘শিবির’ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা বুয়েট ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনের খবরে বিব্রত ও হতবাক হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা। তার পরিবার ভাবতেই পারছেন না তাদের ছেলে এমন কাজ করতে পারে।

রবিনের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার কাপাশিয়া পূর্বপাড়াম মহল্লায়। এলাকাটি পড়েছে পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার এলাকার মধ্যে।

মুষড়ে পড়া রবিনের পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রবিন দোষী হলে তারাও বিচার চান। আর দোষী না হলে মুক্তি চান।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত ফুটেজ আর জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন আবরার ফাহাদকে নির্যাতনের প্রথম আঘাতটি করে মেহেদী হাসান রবিন। আবরারের মৃত্যুর পর পালিয়ে যাওয়া বুয়েট ছাত্রলীগের এই বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার গ্রেপ্তারের খবর জানার পর থেকেই গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবায় প্রতিবেশী আর স্বজনদের ভিড়।

রবিনের বাবা মাকসুদ আলী জানান, শুনেছি আমার ছেলে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না, সে এমন একটি ভয়াবহ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

মাকসুদ আলী আরও বলেন, কেন আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত হবে? একমাত্র ছেলে বলে তাকে নিয়ে আমাদের বড় স্বপ্ন ছিলো। এখন বিশ্বাস করতে পারছি না সে এমন একটি অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে। তাকে তো আমরা পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার করতে ঢাকায় পাঠিয়েছি। সে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে এটা কখনোই ভাবতে পারিনি।

পুঠিয়া উপজেলার ভরুয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এই সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার ছেলে যদি নির্দোষ হয় তবে আমি তার মুক্তি চাই আর যদি জড়িত থাক তাহলে আইন অনুযায়ী সে সাজা পাবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে।

ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :