উইঘুরদের নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতনের নানা চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। তাদের ওপর অত্যাচার ও বন্দির খবরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি আবারও উইঘুরদের ওপর চীনের নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, উইঘুরদের ওপর চীনের নিপীড়ন-নির্যাতন ‘মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন’। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটি যে কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে তাই নয়, এমন আচরণে চীনের কোনো স্বার্থসিদ্ধিও হবে না’।

১৫ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে উইঘুর মুসলমানদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে এ মাসেই চীনের সরকারি-বেসরকারি ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি নিপীড়নে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মঙ্গলবার থেকে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা শিশুদের পর্যায় ক্রমে তাদের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে প্রচারণা চালানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি এবং জিনজিয়াংয়ের উপর এখন চীন সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের কারণে ওই অঞ্চল থেকে এ বিষয়ে কোনও তথ্য বের করা সম্ভব না বলে জানান গবেষকরা। কারণ, সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হয়। তবে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুলসমানদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করা গিয়েছে।

আলাদা আলাদা ভাবে ৬০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গবেষকরা। যারা জিনজিয়াংয়ে শতাধিক শিশু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। নিখোঁজ শিশুগুলো তাদের সন্তান বা খুব কাছের আত্মীয়। শিশুরা সবাই চীনের উইঘুর মুসলমান সম্প্রদায়ের।

চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য উইঘুর মুসলমানদের নানা শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু নানা প্রমাণ বলছে, সেখানে শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস বা ধর্ম পালন এবং মুখঢাকা হিজাব পরার কারণে অনেককে ধরে আনা হয়েছে।

ঢাকা টাইমস/১১অক্টোবর/একে