‘মেডিকেলে নতুন পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ নেই’

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪০ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

প্রশ্নফাঁস এড়াতে এবার কম্পিউটারে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা সেটের প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন পদক্ষেপ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউসুফ হারুন।

শুক্রবার এমবিবিএস পরীক্ষা শুরুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, নতুন প্রশ্নে সারাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ প্রশ্ন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই।

সারাদেশে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে ইউসুফ হারুন বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে আমরা নতুন পদ্ধতিতে ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করার জন্য কাজ করেছি। পরীক্ষা মনিটরিংয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষদের নিয়ে একটি ওভার সাইড কমিটি রয়েছে। যারা প্রশ্নফাঁস করে তারা বুঝে গেছে এ ধরনের কাজে সফল হওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে তারা আর মাথা ঘামায় না। সারাদেশের সকল স্থানে খবর নেয়া হয়েছে, কোথাও অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।’

পরীক্ষা শুরুর একমাস আগে থেকে সকল মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। থ্রি ডক্টরস কোচি সেন্টার থেকে যে সরকারি ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে।

দেশের ১৯টি কেন্দ্রের (১৮টি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজ) ৩২টি ভেন্যুতে ৮৯৬টি হলে একযোগে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা হয়। শুক্রবার  সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারদেশে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজার ২৩৯টি আসনে মোট ৭২ হাজার ৯২৮ জন আবেদন করেন।

এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৮০৯ জন পুরুষ ও ৩৮ হাজার ১১৯ জন নারী রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮০০ এবং ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের ২১৮ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন আবেদনকারী রয়েছেন। এর বাইরে ছয়টি আর্মি মেডিকেল কলেজে ৩৭৫টি আসন রয়েছে।

প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আগে এমবিবিএস পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্রের পাঁচটি সেট তৈরি করা হতো। এতে করে পরীক্ষার্থীর পাশের জনের সঙ্গে কথা বলে উত্তর পাওয়ার সুযোগ থাকত। তাই তারা যাতে এটা না করতে পারে সেজন্য এবার একটি সেটে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তবে প্রশ্নে বিন্যাস আলাদা করা হয়েছে। অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে নতুন প্রশ্ন বিষয়ে আমরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গতবছর আমরা এ পদ্ধতিটি খুঁজে পেয়েছিলাম। কিন্ত সে বছর ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করায় আমরা সেই ঝুঁকিটা নিইনি। তবে ডেন্টাল কলেজের অ্যাডমিশন (ভর্তি) পরীক্ষা, আইএসটি ও ম্যাবসের ভর্তি পরীক্ষায় এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আমরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এটি নিয়ে কথা বলেছি, কারো কোনো সমস্যা হয়েছে কি না জানতে চেয়েছি। তবে তাদের কেউই এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি।’

(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/বিইউ/এমআর)