প্রশ্নের মান ও নতুন পদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুরা

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৪০ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:০৪

মনির হোসেন, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।

ভর্তির প্রশ্নপত্র নতুন পদ্ধতিতে হলেও প্রশ্নের মান ও পদ্ধতি তুলনামূলক সহজ ছিল বলে জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। নতুন পদ্ধতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। তবে কিছু বিষয়ের নৈর্ব্যত্তিক একটু কঠিন হয়েছে বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল দশটা থেকে দেশের সকল মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রা‌মে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ‌সৈকত শীল ঢাকা টাইমস‌কে ব‌লেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ হ‌য়ে‌ছে। ত‌বে কিছু বিষ‌য়ের নৈর্ব‌ক্তিক একটু ক‌ঠিন হ‌য়ে‌ছে।’ এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

একই জবাব মেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা দেওয়া হোসাইনুল ইসলামের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ভাল হয়েছে। তেমন জটিলতা ছিল না। মোটামুটি সহজ ছিল।’ তার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আসা আরও দুজন একই কথা বলেন।

এদিকে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি সন্তোষ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। আব্দুর রহমান নামে একজন অভিভাবক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাচ্চারা পরীক্ষা দিবে ভাল করবে এটা অভিভাবক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু অনেক সময় প্রশ্নপত্রে ভুল, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এবার তেমনটা শুনলাম না। পরীক্ষাও ভাল হয়েছে।’

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বর্তমানে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সাধারণ, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২০টি উপজাতি কোটা রয়েছে।

এছাড়া বেসরকারি ৬৯টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৩১টি। সার্ক ও নন-সার্কভুক্ত দেশসমূহের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৩টি।

২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে এ আবেদনপত্র গ্রহণ। এবার প্রায় ৭৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ৪ অক্টোবর এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা ও বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলরুমপ্রাপ্তি নিয়ে সংশয় থাকায় তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/কারই/এমআর