‘যেখানে ছাত্ররাজনীতি আছে সেখানে জঙ্গি ঘাঁটি হবে না’

আশরাফুল আলম খোকন
 | প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২১

ভালো এবং মন্দের এক সাথে বসবাস আদিকাল থেকেই। যিনি বুদ্ধিমান তিনি মন্দ দেখে ভালোর সাথে এর পার্থক্য বুঝে নেন। আমার এক খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন, আগাগোড়াই অগোছালো ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতেন। আমি তার সাথে চলে বুঝেছিলাম, ভালো থাকতে হলে জীবনে কী কী করা যাবে না। তবে তার ভালো মানবিক দিকগুলো নিজের মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করেছি।

ছাত্ররাজনীতির ভালো-মন্দ দুই দিকই আছে। কিন্তু জঙ্গিবাদের ভালো কোনো দিক আছে- এটা জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী লোকজন ছাড়া কেউ বলবে না। তবে এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি বর্তমান ছাত্ররাজনীতি ৮০/৯০ দশকের চেয়ে শতগুণে ভালো। তখন ক্যাম্পসগুলোতে গুলি-বোমার শব্দ না শুনে ঘুমাতে যাবার রেকর্ড খুব কম। সামান্য তর্কাতর্কিতেও ছিল অস্ত্রের মহড়া। এরপরও ওই ছাত্ররাজনীতিই কিন্তু দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। এই ছাত্ররাজনীতি থেকে অস্ত্রের ঝনঝনানি শেখ হাসিনাই বন্ধ করেছেন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে। যদি আপনাদের মনে থাকে, ওই পাঁচ বছরে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ৫৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল শুধু বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য। যারা ভালো মা তারা ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করে।

দেখলাম, অনেক সুশীল ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দেখবেন ওনাদেরকে ফ্যামিলি টাইমের বাইরে সন্ধ্যার সময় বিভিন্ন ক্লাবে ভালোমন্দ খেয়েই সময় কাটান। ঈদের সময় নিজের ড্রাইভারকে একটি পাঞ্জাবিও কিনে দেন না। কারো কোনো উপকারেও আসেন না।

আমার ছেলেরা বড় হচ্ছে। আমি তাদেরকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াবো যেখানে ছাত্ররাজনীতি আছে। সে রাজনীতি করুক কিংবা না করুক। কারণ আমি জানি, যেখানে ছাত্ররাজনীতি আছে সেখানে আর যাই হোক জঙ্গি বানানোর ঘাঁটি হবে না।

বি.দ্র. অভিযানে যেসব জঙ্গি ধরা পড়ছে, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি খোঁজ খবর নিয়ে দেইখেন। তখন বুঝবেন ছাত্ররাজনীতি কেন দরকার।

লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :