রোহিঙ্গা গণহত্যা: বিচারের পথ দুরূহ

ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৪৮ | প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ২১:১৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের নিয়মানুযায়ী যেকোনো অপরাধের বিচারের সময় অপরাধীকে উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু মায়ানমারের বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন ব্যতীত অপরাধীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাজির করা সম্ভব নয়। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের আলোকে এই গণহত্যার বিচার একটি দূরুহ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর আইন বিভাগের প্রভাষক ইমরান আজাদ।

গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার : আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের আলোকে’ শীর্ষক রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের ৩৫৯তম সাপ্তাহিক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। লেকচারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমরান আজাদ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আইসিসি শুধু তার সদস্য দেশগুলোতে সংগঠিত অপরাধের বিচার করতে পারে। বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য হলেও মিয়ানমার এর সদস্য নই। তবে যেহেতু মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার ভুক্তভোগীদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে ফলে আইসিসি এই বিচারের জন্য অনুসন্ধান শুরু করেছে। তবে মিয়ানমার রাষ্ট্র কর্তৃক রোহিঙ্গা নিধনের মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল কিনা সে-সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এখন পর্যন্ত কোনো মতামত দেয়নি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের কার্যক্রম সম্পর্কে ইমরান আজাদ বলেন, জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সকল আন্তর্জাতিক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের অন্যতম ম্যানডেট। যত শক্তিশালী বা আধিপত্য বিস্তারকারী অপরাধীই হোক না কেন, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করে দায়হীনতার সংস্কৃতি থেকে উত্তরণের এখন পর্যন্ত এটাই একমাত্র জনপ্রিয় পন্থা।

রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের সাপ্তাহিক আলোচনায় জুড়িশিয়াল সার্ভিসের সদস্য রুমেলিয়া সিরাজাম বলেন,‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে খুবই স্বল্প সংখ্যক মানুষ শরর্ণাথী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে যারা পায়নি, তারাও যদি কোন ধরণের অবিচারের শিকার হয় তাহলে বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১নং ধারা অনুযায়ী বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/আরআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :