অনলাইন ‘ক্যাসিনো গুরু’ সেলিম ফের রিমান্ডে
প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:২১
অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার মূলহোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সেলিম প্রধানের সহযোগী মো. আক্তারুজ্জামান ও মো. রোমান।
গত ৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান মামলাটিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিরা কারাগারে থাকায় ওইদিন আদালত ১৩ অক্টোবর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন শুনানিকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি পক্ষে ইয়াছিন জাহান রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
গত ৩ অক্টোবর মাদক আইনের মামলায় এই আসামিদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৮ অক্টোবর থেকে তারা কারাগারে ছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে সেলিম প্রধানের ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিজি ৩২২ নম্বর ফ্লাইটে ওঠেন। সেখান থেকেই তাকে নামিয়ে আটক করা হয়। আটকের পর তার গুলশান ও বনানীর অফিস এবং বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে র্যাব। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে মাদক ও অর্থ পাওয়ার ঘটনায় দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধান বিরুদ্ধে গত বুধবার গুলশান থানায় র্যাব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে।
সেলিম প্রধানের সঙ্গে আর্থিক খাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তার জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারসে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ছাপা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ও অফিসের নথিপত্রও ছাপানো হয়। তার এই প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপির একটি। ২০১৮ সালে ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। সেলিমের কাছে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/আরজেড/জেবি)