ভারতের চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বাংলাদেশের: বিশ্বব্যাংক
চলতি বছর জোরালো অভ্যন্তরীণ চাহিদা অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখলেও তাতে ভাটা পড়েছে। এর প্রভাব পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে। এই প্রবণতার কারণে চলতি বছর ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। সাউথ এশিয়া ইকোনোমিক ফোকাস নামের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ব্যাপক লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প।
তিনি আরো বলেন, তথ্য-উপাত্ত থেকে সাধারণভাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হলো পুরো অঞ্চল বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের থেকেও ভালো করছে বাংলাদেশ। শিল্প উৎপাদনে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি, রপ্তানিতে তা দেখতে পাচ্ছি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টিগ স্কফার বলেন, শিল্প উৎপাদন ও আমদানি কমার পাশাপাশি আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দা ত্বরান্বিত করেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার হিসেবে নির্ধারণ করায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, সংস্থাটির অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করতে হবে আর যদি তা ভালোভাবে করা না হয় তাহলে টুকরো টুকরো হিসেবে অধঃপতিত হয়ে পড়তে পারে।
চলতি বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে চলে আসতে পারে বলে আশক্সক্ষা করেছে বিশ^ব্যাংক। তবে ধারাবাহিকভাবে ২০২১ সালে নাগাদ তা ভালো হয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে উঠতে পারে বলে আশা বিশ্বব্যাংকের।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৮ সালের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। ২০২০ ও ২০২১ সালে এই প্রবৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৭ দশমিক ২ ও ৭ দশমিক ৩ হতে পারে।
এছাড়া, নেপালে চলতি বছর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ আর পরের বছর এর পরিমাণও বাড়তে পারে। দেশটিতে প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় গতিশীল সেবা ও নির্মাণ কর্মকাণ্ড প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/আরআর