সাজেদার সই নকল করে এপিএসের ডিও-বাণিজ্যের অভিযোগ ছেলের

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২১ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার (আধা সরকারিপত্র) বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন সাংসদের বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু। এটি ঠেকাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত পেইজ থেকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. শফি উদ্দিন সাংসদের সই জাল করে বিভিন্ন ধরনের ডিও দিচ্ছেন। সাংসদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাকে ঘিরে থাকা একটি চক্র এসব দুর্নীতি-অনিয়মের জাল ছড়িয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর রাত ১১টা ১৭ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে আয়মন আকবর লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দলের জন্য অবদান কারও অজানা নয়। বয়সের ভারে তিনি যখন ক্লান্ত তখন তাকে নিয়ে চলছে এক বিরাট ষড়যন্ত্র। তার অসুস্থতার সুযোগে তাকে ঘিরে রাখা চক্র ডিও লেটার বাণিজ্য এবং নানা ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম করেই যাচ্ছে।’

কয়েকদিন আগে একটি বড় প্রকল্প ঘিরে ডিও লেটার বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সাংসদপুত্র বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বে শত কোটি টাকার প্রকল্পের প্রেক্ষিতে ডিও লেটার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের কারণে ওই ডিও লেটার মন্ত্রণালয়ে দেয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারেনি। তালমা ফার্মে ও ফায়ার সার্ভিসে চাকরির জন্য এপিএস শফি নিজের স্বাক্ষর দিয়ে ডিও লেটার দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপনেতার কার্যালয় থেকে যেসকল সুপারিশ করা হয়, সবই উপনেতার স্বাক্ষর জাল করে ও উপনেতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করা হয়।’

সাংসদের নির্বাচনী এলাকার নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে আয়মন আকবর বলেন, ‘সালথা-নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের যারা নিবেদিতপ্রাণ তাদেরকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তাকে সবসময়ই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অসুস্থ করে রাখা হয়। নেত্রীর সাথে ফোনে অথবা সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চাইলে সবসময়ই বলা হয়ে থাকে তিনি অসুস্থ।’

বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কিংবদন্তি নেত্রীকে আটকে রেখে তার ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ করছি। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এর আগে ২০১৪ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরীর এপিএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন বড় ছেলে আয়মন আকবর বাবলু। গত বছরের ২২ মার্চ সাংসদের সুপারিশে বাবলুকে সরিয়ে দিয়ে শফি উদ্দিনকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

(ঢাকাটাইমস/ ১৩ অক্টোবর/ এইচএফ)