কড়া নিরাপত্তায় বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু

পরীক্ষা শুরুর আগে শেষ মুহূর্তের জন্য বই দেখছেন কয়েকজন ভর্তিচ্ছু

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সোমবার সকাল নয়টায় পরীক্ষা শুরু হয়। তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

এবার এক হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ১৬১ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন। আসনপ্রতি লড়ছেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও তড়িৎ ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রাণ কানাই সাহা জানান, ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮ জন আবেদন করেছিল। তার মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১২ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য সকাল নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ অংশে আবেদন করেছে ১০ হাজার ৭৬৩ জন। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৫ নভেম্বর।

অন্যদিকে আর্কিটেকচার অংশে পাঁচ ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে। সকাল নয়টা থেকে ১২টা ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এক সপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। এ সময় ১০ দফা দাবি জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করে আন্দোলনকারীরা।

সোমবার গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ মাইকে বারবার ঘোষণা করছিলেন, শুধু ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরাই ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। অভিভাবকরা গেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র খুলে উঁচু করে তা হাতে নিয়ে গেটের দিকে এগোনোর জন্য আহ্বান করছি।’

নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে অভিভাবকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও মাইকে জানানো হয়।

বুয়েটে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ৩১ আগস্ট। আবেদন ও ভর্তি ফি প্রদানের শেষ দিন ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর এবং আজ (১৪ অক্টোবর) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী ২৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।

বুয়েটে রাসায়িনিক প্রকৌশল বিভাগে ৬০, ধাতব প্রকৌশলে ৫০, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৯৫, পানি সম্পদ প্রকৌশলে ৩০, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৮০, নৌ স্থাপত্য ও সামুদ্রিক প্রকৌশলে ৫৫, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে ৩০, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে ১৯৫, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ১২০, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, স্থাপত্য বিভাগে ৫৫ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৩০টি আসন রয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথম ১২ হাজার জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এমআর