ইলিশ রক্ষার অভিযানে জেলে-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৬

শওকত আলী, চাঁদপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৪৩

চাঁদপুরে ইলিশ ধরায় বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জেলেরা। এতে ছয়জনের মতো আহত হয়েছেন। ইলিশের নিরাপদে প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে সোমবার দুপুরে নৌ-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জেলেরা।

আহতদের মধ্যে দুই জেলে, দুই পুলিশ সদস্য ও স্পিডবোট চালক আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জেলেকে আটক করেছে। এছাড়া পৃথক আরও দুই অভিযানে আটক হয়েছেন ১০ জেলে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আটকদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ভোরে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড় এলাকায় অভিযান চালানে যায় পুলিশ। চাঁদপুরে দায়িত্বরত নৌপুলিশের এসপি জমশের আলীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত করা হয়।

সকাল ছয়টার দিকে ইলিশ ধরার সময় জেলেদের আটক করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হন।

আহতরা হলেন- নাজমুল হোসেন শেখ, মনির হোসেন শেখ, স্পিডবোট চালক মো. রুবেল, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, নায়েক দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল শাহরিয়ার। অভিযানের সময় পুলিশ ২১ কেজি মা ইলিশ ও ৫০ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করেছেন।

আটক জেলেরা হলেন- কামাল, সবুজ, শামছু, মিলন বেপারী, আমির হোসেন, কাউছার বেপারী, বিজয় বেপারী, রুহুল আমিন, হাবিব খান, ইব্রাহীম, চারু গাজী, ছাত্তার খান, আইনুল হক, আল-আমিন বেপারী, জসিম বেপারী, নাজমুল হোসেন শেখ, মনির হোসেন শেখ ও অজ্ঞাতনামা একজন শিশু।

চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের খান জানান, আটক জেলেদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। পরে আজই তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আটকদের মধ্যে একজন শিশু থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত দুই জেলে ও স্পিডবোট চালককে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে সকালে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের পেটি অফিসার মাইনুল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদী থেকে আট জেলেকে আটক করা হয়। তারা হলেন- নেয়ামত মিজি, শহীদ গাজী, মো. আরিফ গাজী, ফয়েজ পাটওয়ারী, মো. রাজিব, মো. শাকিল, মো. আকতার হোসেন, মো. শাহরুখ হোসেন। এ সময় জেলেদের কাছ থেকে ৫০ কোজি মা ইলিশ ও ৩ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করে কোস্টগার্ড।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিদুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আট জেলের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ শিকার করায় দুই জেলেকে আটক করেন। তারা হলেন মনির হোসেন গাজী ও আমির হোসেন গাজী।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি জানান, চাঁদপুরের ৯০ কিলোমিটার নৌ-সীমানায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের দিনরাতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :