খেতুরীধামে মহোৎসব শুরু ১৭ অক্টোবর

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৪৭ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫৩

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধামের সংখ্যা ছয়টি। এর মধ্যে পাঁচটিই ভারতবর্ষে। আর একটি বাংলাদেশে। এটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের খেতুর গ্রামে। প্রতিবছর এখানে আয়োজন করা হয় ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব।

এবারের মহোৎসব চলবে আগামী ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর। দেশ-বিদেশ থেকে আসবেন ঠাকুর নরোত্তম দাসের কয়েক লাখ ভক্ত। বসবে মেলা। এ নিয়ে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টি বোর্ড। আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গ্রহণ করা হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে গত শনিবার সকালে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহিদুল্লাহ তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছেন। সভায় জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা, খেতুর মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এসপি বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসব যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য পুলিশের সর্বাত্তক প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে ঠাকুর নরোত্তম দাস তৎকালীন গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত বর্তমানের গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জমিদার কৃষ্ণনন্দ দাস, মা নারায়ণী রাণী। গোপলপুরে শৈশব অতিবাহিত করে ঠাকুর নরোত্তম দাস বৃন্দাবন অভিমুখে যাত্রা করেন। সেখানে নিখিল বৈষ্ণবকুল লোকনাথ গোস্বামীর শিষ্যত্বগ্রহণ করে ধর্মীয় দীক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি খেতুরে ফিরে আসেন। খেতুর মন্দিরে গড়ে তোলেন স্থাপনা। এরপর তিনিই প্রথমে এখানে এ উৎসবের আয়োজন করেন। ভক্তরা দূর-দুরান্ত থেকে তার কাছে এসে দীক্ষাগ্রহণ করতে শুরু করেন।

১৬১১ খ্রিস্টাব্দের কার্তিকী কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথিতে ঠাকুর নরোত্তম দাসের দেহ সাদা দুধের মতো তরল পদার্থে পরিণত হয়ে গঙ্গাজলে মিলিয়ে যায়। তখন থেকেই নরোত্তমের কৃপা লাভের আশায় প্রতিবছর বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা খেতুরীধামে তার তিরোভাব তিথি মহোৎসবে মিলিত হন। 

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এলএ)