নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে মধুখালীর ১০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:০০

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় মধুমতি ও গড়াই নদীর পানি বেড়েছে। এতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চরাঞ্চালের ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি ছিল। এখন পানি কমা শুরু হওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়েছেন ওই গ্রামগুলোর মানুষ।

ভাঙন গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে জীবনযাপন করছেন। অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকের বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে গ্রামের অভাবের কথা চিন্তা করে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  তিলাম হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে পানিবন্দি ১টি, নদী ভাঙনে ৬টি এবং ৩০ জনের রোপা আমন লাগানো পরিবারের ক্ষতি হয়েছে।’

২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াজেদ শেখ বলেন, আমার ওয়ার্ডে ২০০টি পরিবার পানিবন্দি, চারটি পরিবার নদী ভাঙন এবং ৭৫টি পরিবারের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’

৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে পানিবন্দি ২৭২টি পরিবার, ৫০টি নদী ভাঙন এবং ১১২টি পরিবারের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’

৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে পানিবন্দি পরিবার ২০টি, নদী ভাঙা ৩টি পরিবার এবং ফসলের ক্ষতি ৩০টি পরিবার।’

৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল হোসেন বলেন,-‘আমার ওয়ার্ডে ২০টি পরিবারের মত নদী ভাঙনে ক্ষতি হয়েছে।’

৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ  বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ৭টি পরিবার পানিবন্দি ছিল।’

মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বছর রোপা আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৬৫ হেক্টর ও চার হেক্টর মাসকলাই।’

এ ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস (বাবু) বলেন, ‘গত দুই বছর আগে বন্যায় যে পরিমাণ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষের ক্ষতি হয়েছিল- অসময়ে মধুমতি ও গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বেশি ক্ষতি হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এলএ)